করোনাভাইরাসের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আড়াই হাজার আইসোলেশন বেড, ভেন্টিলেটর স্টেশন ও হাসপাতাল তৈরি করা যাবে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায়।

আজ সোমবার বিকালে রাজধানীর কুড়িলে বসুন্ধরার চারটি কনভেনশন সেন্টার পরিদর্শন শেষে একথা জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. মো. ইউনুস আলী।

ডা. মো. ইউনুস আলীর বলেন, আমরা আশা করছি, ১৩ লাখ স্কয়ার ফিটের সেন্টারে ২৫০০ বেডের আইসোলেশন বেড করা সম্ভব। বাকি তিনটা সেন্টারের একটাকে আইসিও কেয়ার বা ভেন্টিলেটর স্টেশন করতে পারবো। বাকি সেন্টারগুলোকে হাসপাতালে রূপান্তরিত করতে পারবো।

এর আগে গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে করোনাভাইরাসের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারকে সহায়তার অংশ হিসেবে পাঁচ হাজার শয্যার হাসপাতাল তৈরির প্রস্তাব দেয় দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। ওই দিন প্রধানমন্ত্রীর করোনা মোকাবেলার তহবিলে ১০ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের এসংক্রান্ত একটি লিখিত প্রস্তাব দেওয়া হয়। 

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বসুন্ধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাবটি তুলে ধরেন। এতে রাজধানীর কুড়িলে বসুন্ধরার চারটি কনভেনশন সিটি ও একটি ট্রেড সেন্টারকে হাসপাতালে রূপান্তরের কথা বলা হয়। প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছেন বলে তাঁর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর কুড়িলে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা পরিদর্শন করেন লেফটেনেন্ট কর্নেল বদরুল হকের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দল ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. মো. ইউনুস আলীর নেতৃত্বে তিনজন কর্মকর্তা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দেওয়া বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের প্রস্তাবে বলা হয়, রাজধানীর কুড়িলে বসুন্ধরার চারটি কনভেনশন সিটি ও একটি ট্রেড সেন্টারে হবে এই পাঁচ হাজার শয্যার হাসপাতাল। কনভেনশন সিটিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়টি ৩০ হাজার বর্গফুটের। বাকি তিনটি ২০ হাজার বর্গফুটের। আর ট্রেড সেন্টারের আয়তন এক লাখ ৫০ হাজার বর্গফুটের। বসুন্ধরা কনভেনশন সিটিগুলো বিভিন্ন অবকাঠামোসমৃদ্ধ এবং রাজধানীর মধ্যবর্তী কুড়িল এলাকায় অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন ও হাসপাতালে রূপান্তরের অবস্থায় রয়েছে। এখনই উদ্যোগ নেওয়া হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এগুলোকে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল হিসেবে চালু করা সম্ভব হবে।