মোঃ খাইরুল ইসলাম, ভান্ডারিয়া প্রতিনিধি

পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়া উপজেলায় সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সবুজ হাওলাদার (১৮) নামে এক স্কুলছাত্রের অদ্য ৩১ মার্চ মঙ্গলবার মৃত্যু ঘটেছে। এ ঘটনায় করোনা সন্দেহে উপজেলা প্রশাসন মৃত ওই ছাত্রের বাড়ির আশপাশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছে। তবে সে করোনা আক্রান্ত কি-না তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে সে করোনা আক্রান্ত কিনা তা নিশ্চিত হতে উপজেলা প্রশাসন নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় প্রেরণ করেছে।
ভান্ডারিয়া উপজেলার পূর্ব ধাওয়া পোদ্দারখাল গ্রামে আজ মঙ্গলবার দুপুরে নিজ বাড়িতে ওই স্কুলছাত্র মারা যান। সে দক্ষিণ পূর্ব ধাওয়া গ্রামের দিনমজুর আব্দুল আজিজ হাওলাদারের ছেলে। সে এ বছর উপজেলার দক্ষিণ ধাওয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্কুলছাত্র সবুজ গত চার দিন আগে সর্দি-জ্বরে ও কাশিতে আক্রান্ত হন। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিষয়টি অবহিত করলে চিকিৎসকগণ হাসপাতালে নিয়ে আসতে পরামর্শ দেন কিন্তু তার পরিবার তাকে বাড়িতে রেখে স্থানীয় সাধারণ চিকিৎসা করাকালীন সময় দুপুরে হঠাৎ সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
স্কুলছাত্রের মৃত্যুর খবর পেয়ে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিববার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এইচ এম জহিরুল ইসলামসহ উপজেলা প্রশাসনের একটি দল তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনা স্থলে যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এইচ এম জহিরুল ইসলাম জানান, মৃত ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল কিনা তার নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ঝুঁকি এড়াতে মৃত স্কুলছাত্রের বাড়িসহ পার্শ্ববর্তী বাড়িগুলো লকডাউন কর সকলকে কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম, ওই বাড়ি ও এলাকা লকডাউন করে সকলকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার ঘোষাণা দেন। এ ছাড়া তিনি এ ১৪ দিন ওই সব পরিবারের খাবার সরবরাহের দায়িত্ব গ্রহন করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.নাজমুল আলম বিষযটি নিশ্চিত করে জানান, মৃত স্কুলছাত্রের বাড়িসহ আশপাশে আজ থেকে ১৪ দিন লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। মৃতের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সকলকে সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।