নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়া উপজেলার মধ্যভাগ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে পোনা নদী। পনের কিলোমিটার এ দীর্ঘ নদী কচা নদীতে মিশেছে, কচা নদীর সাথে বঙ্গোপসাগরের সরাসরি সংযোগ রয়েছে।
এ পোনা নদীতে অসংখ্য ছোট বড় মাছের অবস্থান রয়েছে এবং নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ এ স্লোগানকে সামনে রেখে বিভিন্নসময় সরকারি ভাবে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।
কিন্তু কয়েকদিন যাবত কিছু অসাধু লোক চিংড়ি মাছ ধরার জন্য নদীতে বিষ প্রয়োগ করেন, যার ফলশ্রুতিতে বড় চিংড়ি মাছের পাশাপাশি ছোট অসংখ্য মাছ মারা যাচ্ছে, যাহাতে মাছের প্রজনন ও উৎপাদন ব্যাপক হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।
মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৮৫ এর বিধি:৬ মোতাবেক বিষ ইত্যাদি প্রয়োগে মৎস্য নিধন সম্পুর্ণ নিষিদ্ধ।
মৎস্য আইনে মাছের পোনা সংরক্ষণে সোয়া চার ইঞ্চির কম ফাঁস জাল ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
উল্লেখ্য, গত ২৪ আগস্ট দিবাগত রাতে পোনা নদীর এরশাদ সেতু-২ থেকে লঞ্চঘাট পর্যন্ত স্থানে কিছু অসাধু লোক বিষ দিয়ে মাছ ধরার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রাতে অসাধু চক্র মাছ ধরার পর নদীর চড়ে হাজার হাজার বিভিন্ন জাতের মৃত মাছের পোনা দেখা গেছে।
স্থানীয়রা প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।