নিজস্ব প্রতিবেদক
স্মার্টফোন স্বর্ণালংকার ব্যবহার করাই যেন দায় হয়ে পরেছে গ্রামের মানুষের। বখাটে ও পেশাদার চোর ইস্রাফিল নামের ওই যুবকের চুরি ও বাড়ি ঘরের নারীদের সাথে বখাটেপনার কারনে অতিষ্ট কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ডগ্রাপাড়া, কল্পপাস, ধানদৌলসহ পাশাপাশি ৪থেকে ৫টি গ্রামের সাধারন মানুষ। হাতেনাতে বহুবার ধরাও পরে ইস্রাফিল। ব্রহ্মণপাড়া থানা ও আদালতে চুরি ছিনতাই সহ বিভিন্ন অভিযোগে ডজন খানেকের ওপর মামলা ও অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। জেল থেকে এসেই ফের এলাকায় শুরু করে চুরি ছিনতাই মাদক কারবার ও সেবন। চুরি, মারামারি, শ্লীলতাহানি সহ অন্তহীন অভিযোগ ব্রাহ্মণপাড়ারার কয়েক গ্রামের সাধারণ মানুষের। স্থানীয় ভাবে শালিস বিচার, থানা পুলিশ, মামলা, অভিযোগ করেও ইস্রাফিল ওরফে ইউসুফের হাত থেকে কিছুতেই নিস্তার মিলছে না গ্রামবাসীর। দিনে বা রাতে চুরি করতে গিয়ে ধরা পরলে উল্টো পরিবারের নারীদের সাথে অনৈতিক সম্পর্কের বানোয়াট গল্প সাজিয়ে অপবাদ দেয়ায় অনকেই সম্মানহানীর ভয়ে চুপ থাকেন। আর তাই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে জন্য জেলা পুলিশ সুপার, আইনপ্রয়োগকারী উর্ধতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তা চাইছেন ভুক্তভোগী কয়েক গ্রামের মানুষ।
উপজেলার ডগ্রাপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান মিয়ার বখাটে ছেলে ইস্রাফিলকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি তারই নিকটা আত্মীয় স্বজনসহ স্থানীয় এলাকাবাসীর।
চুরির অভিযোগে হাতেনাতে আটক হয়ে ১৯ দিন জেলে খেটে এলাকায় এসে আবারো শুরু করে চুরি। গেলো কদিন আগেই আবারো হাতেনাতে চোরাই ফোন ও মালামাল সহ আটক হয় সে। উত্তেজিত এলাকাবাসী গণধোলাই দিয়ে হাসপাতালে পাঠায় তাকে। চুরির প্রতিবাদ ও প্রতিহত করতে গিয়ে এখন ইস্রাফিল ও তার সহযোগীদের মিথ্যা মামলা ও হামলার হুমকিতে উল্টো বিপকে পরেছেন বিভিন্ন সময় তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, মামলা ও অভিযোগ করা স্থানীয় প্রবাসী, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ব্যবসায়ীসহ এলাকার অর্ধশতাধিক ভুক্তভোগী।
এলাকার চিহ্নিত ও আত্মস্বীকৃত চোর ইস্রাফিল ও তার আশ্রয় প্রশ্রয় দাতাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর বিচারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।