নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ৮২৯ জন শিক্ষকের জাল সনদের প্রমাণ পেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাদের কারও শিক্ষক নিবন্ধন, কারও কম্পিউটার, কারও অনার্স-মাস্টার্সের সনদ জাল। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক তদন্ত প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। এছাড়া আরো ৫ হাজার শিক্ষকের জাল সনদ অভিযোগের তদন্ত চলছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে রাজশাহীর একটি কলেজের উদাহরণ দিয়ে বলা হয়েছে, সম্প্রতি কলেজটি সরকারিকরণ করা হয়েছে। এই কলেজের চার শিক্ষক জাল সনদ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের তদন্তে এর প্রমাণ মিলেছে। তবে অভিযুক্ত শিক্ষকরা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অন্যদিকে কলেজের উপাধ্যক্ষ বলছেন, এ সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।
জানা যায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্তে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জাল ৫৫৯ জনের, কম্পিউটার সনদ জাল ২২১ জনের এবং অন্যান্য একাডেমিক সনদ জাল ৫৯ জন শিক্ষকের।
পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের যুগ্ম পরিচালক বিপুল চন্দ্র সরকার বলেন, আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে অনেক অভিযোগ পাচ্ছি। এগুলো ধারাবাহিকভাবে তদন্ত করছি।
অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, এনটিআরসিএর মাধ্যমে এখন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ হয়। এতে অনেকটাই স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়েছে। সামনের দিনে যাতে আরো স্বচ্ছভাবে শিক্ষক নিয়োগ হয় সেজন্য সবধরনের ব্যবস্থা থাকবে।
নিয়োগের স্বচ্ছতা নিশ্চিতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা আরো বাড়ানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।