কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের সহকারী প্রধান কারারক্ষী তরিকুল ইসলাম শাহিন ১০৪ পিস ইয়াবা নিয়ে কারাগারের ভিতর প্রবেশ করার আগ মুহুর্তে হাতে নাতে ধরা খেল সিনিয়র জেল সুপার মো. শাহজাহান আহমেদের কাছে। পরে কারা ব্যারাকে তার রুম তল্লাসী চালিয়ে কারাগার কর্তৃপক্ষ তার বিছানার নিচ থেকে আরো ৪১৬ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার এ কথা নিশ্চিত করেছেন। আটককৃত তরিকুল ইসলাম শাহিন চট্রগ্রাম জেলার সিতাকুন্ড উপজেলার ইয়াকুব নগরের ফুল মিয়ার ছেলে। সে ১৯৯৬ সালের ১৫ জুন চাকুরীতে যোগদান করে। কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শাহজাহান আহমেদ সোমবার দুপুরে জানান, আমি কুমিল্লা কারাগারে যোগ দেওয়ার পরেই বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্রে জানতে পেরেছি সহকারী প্রধান কারারক্ষী মো. তরিকুল ইসলাম শাহিন (কারা রক্ষী নং ২১৫৯৯)কারাগারের ভিতর বন্দিদের কাছে মাদক কেনা বেচা করে।এ কথা শুনেই তাকে হাতে নাতে ধরার জন্য আমরা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেই। গোপন সংবাদে জানতে পেরেছি আজ (৬ এপ্রিল) সোমবার সে ইয়াবা নিয়ে ডিউটিতে আসছে। তাই আমরাও সতর্ক থাকি। বেলা সাড়ে ১১ টায় সে যখন ভিতরে প্রবেশ করবে এমন সময় কারা সিপাহী দিয়ে তাকে আমার রুমে ডেকে আনি। এ সময় জেলার মো.আসাদুর রহমানসহ অন্যান্য ডেপুটি জেলারদের আগেই উপস্থিত রাখি। সবার সামনে সহকারী প্রধান কারারক্ষী তারিকুল ইসলাম শাহিনের দেহ তল্লাসী করলে তার পকেটে থাকা সিগারেটের প্যাকেটের ভিতর ১০৪ পিস ইয়াবা খুঁজে পাই। পরে কারাগারের অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়ে ব্যারাকে তার রুমে তল্লাসী চালিয়ে বিছানার নিচ থেকে আরো ৪১৬ পিস ইয়াবা উদ্ধার করি। এ নিয়ে মোট ৫২২ পিছ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে দীর্ঘদিন ধরে কারাগারের ভিতর বন্দিদের মাঝে মাদক কেনা বেচা করত বলে স্বীকার করেছে। এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।