নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজধানীর রূপনগর থানার ওসি তদন্ত মোকাব্বর এর নেতৃত্বে ১২-১৫ জন মিলে ২ জন সাংবাদিককে মেরে আহত করেছেন। তাদের একজনের অবস্থা ভীষণ খারাপ। একজনের পা ভেঙ্গে ফুলে উঠেছে আর একজনের হাত ফেটে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।

এ ঘটনায় “জার্নালিস্ট হেল্প সেন্টার” (জেএইচসি) এর চেয়ারম্যান আজগর আলি মানিক ও মহাসচিব এস এম জীবন তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

চেয়ারম্যান আজগর আলি মানিক বলেন, সাংবাদিকদের প্রতি পুলিশের এমন অশুভ আচরণ সত্যিই দুঃখ ও লজ্জাজনক। যা সাংবাদিক পেশার জন্য বড় এক হুমকি।

মহাসচিব এস এম জীবন বলেন, পুলিশ যেমন দেশ ও জনগণের জন্য করোনা মোকাবেলায় মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে, সাংবাদিকরাও তাই করছে। সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পরও পুলিশের এমন অসৎ আচরণ মেনে নেয়া যায়না।

তিনি এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করে করে অপরাধীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

ঘটনার সূত্রপাত, ইনিউজ৭১ এর বিশেষ প্রতিবেদক বেলা ৩ টার দিকে এক ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তিকে রক্ত দিয়ে বাসায় ফিরছিলেন।

এমন সময় রূপনগর আবাসিক এলাকাতে তার গতিরোধ করেন রূপনগর থানার কতিপয় পুলিশ, তবে অতি উৎসাহী একদল এসআই কোন কথা না শুনেই বেধড়ক মার মারছিলেন ওই সাংবাদিককে। তার পাশেই ছিলেন ইনিউজ৭১ এর সম্পাদক।তিনি ওষুধ কেনার জন্য আবাসিকের মোড়ে লাজ ফার্মাতে গিয়েছিলেন।

তিনি তার প্রতিবেদকে মারতে দেখে মোবাইল দিয়ে ভিডিও শুরু করলেই তাকে ১২-১৫ জন এক হয়ে জন্তুর মতো করে রাস্তায় ফেলে মারতে থাকেন। বার বার পরিচয় দেবার পর ও ভুয়া সাংবাদিক বলে আরও বেশি পেটায়। এক পর্যায় মোবাইল কেড়ে নিয়ে আছাড় দেয় এবং সাথে থাকা ৫০০০ টাকা সহ মানি ব্যাগ কেরে নেয় সম্পাদকের। পরে যদিও মানিব্যাগ আর মোবাইল ফেরত দেয় কিন্তু টাকা তাঁরা ভাগ করে নিয়ে যায়।

সম্পাদকের ভাষ্য মতে পুলিশ অনেক হিংস্র আচরণ করছে মানুষের সাথে, যাকে পাচ্ছে তাকে পেটাচ্ছে লাঠি, বাঁশ, ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প এসব দিয়ে। তিনি জানান যে তাকে যেভাবে মারা হচ্ছিল এমন ভাবে যে সাংবাদিকেদের উপর কঠিন আক্রোশ ছিল ওই থানার পুলিশদের। একজন মানুষ কঠিন ভুল করলে ও কি করে জন্তুর মতো করে ১২-১৫ জন সবাই এক এক করে পিটিয়েছেন যাচ্ছেন। তাই তিনি এর কঠিন প্রতিবাদ কামনা করছেন সাংবাদিক সমাজের কাছে এবং আইজিপি মহাদয়ের কাছে এর বিচার দাবি করছেন।