বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সরকারের সমালোচনা করে বলেছেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের উচিত ছিল সমন্বিতভাবে জাতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা। কিন্তু জাতীয় উদ্যোগ নেওয়া তো দূরের কথা বিএনপি বা এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল যেখানেই সাধ্যমতো সাধারণ গরিব মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করতে যাচ্ছে সেখানেই পুলিশ লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। করোনা মহামারির মধ্যেও সরকার দুঃশাসন জারি করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মহাখালীতে দুস্থ ও কর্মহীন গরিব মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে তিনি এ অভিযোগ করেন।

রিজভী বলেন, ত্রাণ বিতরণের সময় রাজশাহীতে ছাত্রদলের নেতা মালেককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আসলে জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই ক্ষমতাসীন সরকার দুঃসময়ের মধ্যেই দুঃশাসন জারি রেখেছে। এটাই কি জনগণের পাশে দাঁড়ানো? তবে বিএনপি শত জুলুম নির্যাতনের মাঝেও সাধারণ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবে।

তিনি বলেন, অথচ মেলান্দহ উপজেলার এক আওয়ামী লীগের নেতার বাড়িতে ৫০০ বস্তা চাল পাওয়া গেছে। আর অনেক নেতার বাড়িতে ত্রাণের আত্মসাতের চাল ধরা পড়ছে প্রতিনিয়ত। কই তাদের বিরুদ্ধে তো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আজকে গোটা দেশে বিপর্যয়ের মুখেও আওয়ামী লীগের লুটপাট থামছে না। তাহলে এসব কী সরকারের সমন্বিত উদ্যোগের নমুনা! এটা কি জাতীয় ঐক্যের লক্ষণ? একদিকে বিরোধী দলের ওপর হামলা মামলা অব্যাহত রেখেছে অন্যদিকে নিজেদের লোকদের চুরি আর লুটপাট করতে সহযোগিতা করছে সরকার।

তিনি আরো বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের চিকিৎসা করার জন্য ডাক্তারদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি সরকার। ডাক্তারদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম বা পিপিই দিতে পারছেনা। কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্সদের খাবার দেওয়া হচ্ছে না। সেবা করতে গিয়ে গতকাল ডা. মঈন উদ্দিন তিনি তার জীবনকে উৎসর্গ করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।