ঘাতক ভাইরাস করোনায় কাঁপছে পুরো বিশ্ব। সৃষ্টি হয়েছে মানবিক সংকট। দেশে দেশে জমছে লাশের স্তুপ। অথচ করোনার জন্মদাতা চীন এই ক্রান্তিকালে গোপনে চালিয়েছে স্বল্প পাল্লার পারমাণবিক পরীক্ষা। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ করা হয়েছে। চীনের লুপ নুর পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্রের পরিপার্শ্বগত পরিবর্তন বিশ্লেষণ করে এমন ধারণা করছে পেন্টাগন।
তবে বেইজিং পারমাণবিক পরীক্ষার কথা অস্বীকার করেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান বলছে, করোনাভাইরাস নিয়ে এরই মধ্যে শিথিল হয়ে পড়া ওয়াশিংটন-বেইজিং সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলতে পারে এই দাবি।
১৯৯৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন কম্প্রিহেনসিভ টেস্ট ব্যান ট্রিটি (সিটিবিটি) স্বাক্ষর করে। তবে কোনও দেশই তা অনুমোদন করেনি। সে কারণে বাস্তবায়ন করা যায়নি এই চুক্তি। তবে চীন চুক্তির শর্ত মেনে চলছে আর যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক পরীক্ষা স্থগিত রাখা পর্যবেক্ষণ করছে। চুক্তিটি কার্যকর হলে সন্দেহজনক স্থাপনা পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে।
গত বছর মে মাসে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ আনে মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা। তবে সেই অভিযোগ প্রমাণ করা যায়নি। মার্কিন আমলারাও ট্রাম্প প্রশাসনকে আনুষ্ঠানিকভাবে সিটিবিটি বাতিল করার আহ্বান জানাচ্ছেন। তাতে করে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের পারমাণবিক পরীক্ষা চালাতে পারবে।
রিপাবলিকান সিনেটর টম কটোন টুইটারে লিখেছেন, ‘বেইজিং তাদের পারমাণবিক অস্ত্র আধুনিকায়ন করছে আর যুক্তরাষ্ট্র একপাক্ষিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তির দিয়ে হাত আটকে রেখেছে। চীন প্রমাণ করেছে তারা আমাদের সঙ্গে সততার সঙ্গে কাজ করতে পারবে না।’
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, চীন পারমাণবিক পরীক্ষা স্থগিত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্র মিথ্যা অভিযোগ করছে বলে দাবি করেন তিনি। বলেন, চীন সব সময়ই দায়িত্বশীল আচরণ করেছে, আন্তর্জাতিক নিয়ম কানুন সততার সঙ্গে মেনে চলেছে। চীনকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা ভিত্তিহীন।
সূত্র- দ্য গার্ডিয়ান।