চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর প্রথমে উৎপত্তিস্থল লকডাউন করে দেওয়া হয়। পরে পুরো চীন লকডাউনে চলে যায়। আর সে দেশ থেকে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে যায় করোনাভাইরাস।
বর্তমানে সারাবিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৮৮ হাজার ছয়শ ৪৮ জন এবং এরই মধ্যে মারা গেছে এক লাখ ৩৪ হাজার সাতশ ৫৪ জন।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে এসেও লকডাউন না করার ব্যাপারে মার্কিন সিনেটরদের কমিটিকে পরামর্শ দিয়েছেন সে দেশের ঊর্ধ্বতন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। বিমান চলাচল বন্ধ না করারও পরামর্শ দিয়েছিলেন তারা। অথচ, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ছয় লাখ ৪৪ হাজার তিনশ ৪৮ জন এবং মারা গেছে ২৮ হাজার পাঁচশ ৫৪ জন।
কয়েক মাস আগেও করোনাভাইরাসের নাম সেভাবে জানতো না বিশ্ববাসী। কিন্তু অল্প দিনের মধ্যেই এটি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে গেছে। অথচ, এই ভাইরাসের কোনো ভ্যাকসিন কিংবা ওষুধ এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। বাধ্য হয়ে একের পর এক দেশ লকডাউনে চলে যাচ্ছে। বিমানের ফ্লাইটগুলো বাতিল হয়ে যাচ্ছে, যাত্রীবাহী জাহাজ কোয়ারেন্টিন করে রাখা হচ্ছে, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি হচ্ছে।
অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, বিমানের কারণে চীনের উহান শহর থেকে করোনাভাইরাস দ্রুত সারাবিশ্বে ছড়িয়ে গেছে। আর ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পরই এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
এর আগে ২০০২ সালে সার্স ভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়ার পেছনেও হাত ছিল বিমানের। বিমানে চলাচলের ফলে ডিপথেরিয়া, হেপাটাইটিস এ, ইনফ্লুয়েঞ্জা এ এবং বি, মামস, রুবিলা, নরোভাইরাস সহ আরো অনেক রোগ ছড়িয়ে যায়।
কেবল যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন গড়ে ২৫ লাখ মানুষ বিমানে চলাচল করেছে। আক্রান্ত একজন অন্তত ১৬ জনকে আক্রান্ত করতে পারে। ৯-১১ পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে ইনফ্লুয়েঞ্জা থামাতে বিমান চলাচল বন্ধ করে ইতিবাচক ফল দেখা গেছে।
সংক্রামক রোগে আক্রান্ত কাউকে বিমানে চলাচল করতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া সরকারের ঠিক হবে না বলে মত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)। আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত তো বটেই, যাদের মধ্যে এ ধরনের রোগের লক্ষণ থাকবে, তাদেরও বিমানে চড়তে দেওয়া যাবে না।
সূত্র : গুড মিন প্রজেক্ট