চট্টগ্রাম নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে সরকারি ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে ২০ এপ্রিলের মধ্যে ত্রাণ গ্রহণেচ্ছুদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মাধ্যমে পরিচালিত সরকারি ত্রাণ-সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে এখনও পর্যন্ত যে সকল গরিব এবং কর্মহীন অস্বচ্ছল পরিবার তালিকাভুক্ত হননি। ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে সিটি মেয়র বলেন, এরই মধ্যে যারা নাম অন্তর্ভুক্ত করবেন না তারা সরকারি ত্রাণ কার্যক্রমের বাইরে থেকে যাবেন। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সরকারিভাবে ৫ শত ৯০ টন খাদ্য সহায়তা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১ শত ৯০ টন বণ্টন করা হয়েছে। এ সপ্তাহের মধ্যে বাকী ৪ শত টন বিলি করা হবে। এ দফায় মোট ১ লক্ষ ১৮ হাজার পরিবার ত্রাণ পাবে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে তালিকাভূক্ত গরিব ও অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে চসিক ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মাধ্যমে সরকারি ত্রাণ-সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তবে তালিকাভূক্ত না হওয়ায় এখনও পর্যন্ত অনেক গরিব ও কর্মহীন অস্বচ্ছল পরিবার ত্রাণ-সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমের বাইরে রয়ে গেছেন। সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে প্রত্যেক গরিব ও অস্বচ্ছল পরিবারের ঘরে ঘরে আপদকালীন ত্রাণ-সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া। সরকারি ভাণ্ডারে যথেষ্ট ত্রাণ-সামগ্রী মওজুদ আছে ও সরবরাহ অব্যাহত আছে বিধায় কারো অভুক্ত থাকার আশংকা নেই। প্রত্যেক গরিব ও কর্মহীন অস্বচ্ছল পরিবারের তালিকা হালনাগাদ করে দুর্যোগ নিরসন না হওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে নগরীতে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।