ক্যানসারের সঙ্গে লড়ছিলেন তিনি। ভক্তের আশাবাদ ছিল, পর্দায় আবার দেখা যাবে প্রিয় অভিনেতাকে। তিনি নিজেও সেই স্বপ্ন দেখছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই থেমে গেল সব কোলাহল। হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বেঁচে থাকার লড়াই করতে করতেই চলে গেলেন ইরফান খান।

ইরফান খানের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বলিউডে। সহকর্মী, ভক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক প্রকাশ করছেন। বলিউডের ‘বিগ বি’খ্যাত অমিতাভ বচ্চন মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে লিখেছেন, ‘মাত্র ইরফান খানের মৃত্যুর খবর পেলাম। সবচেয়ে অস্বস্তিদায়ক ও দুঃখের খবর। অসাধারণ প্রতিভা ও বিনয়ী সহকর্মী। বিশ্ব চলচ্চিত্রে অসাধারণ অবদান রেখেছেন। খুব দ্রুত আমাদের ছেড়ে গেলেন। অনেক বড় শূন্যতা তৈরি হলো। তার জন্য দোয়া রইল।’

নির্মাতা সুজিত সরকারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন ইরফান। এই নির্মাতার ‘পিকু’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। সুজিত লিখেছেন, ‘প্রিয় বন্ধু ইরফান। তুমি শুধু লড়াই, লড়াই এবং লড়াই করেছো। আমি সবসময়ই তোমাকে নিয়ে গর্বিত। আবার আমাদের দেখা হবে। সুতপা (ইরফানের স্ত্রী) ও বাবিলের (ছেলে) প্রতি সমবেদনা। আপনারাও লড়াই করেছেন, সুতপা আপনি সাধ্যমতো লড়াই করেছেন। ইরফান খান স্যালুট।’

অভিনেতা অজয় দেবগন লিখেছেন, ‘ইরফানের অসময়ে চলে যাওয়ার খবরে কষ্ট পেয়েছি। এটি ভারতীয় সিনেমার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তার স্ত্রী ও পুত্রের প্রতি সমবেদনা। শান্তিতে ঘুমান ইরফান।’

নির্মাতা করন জোহর শোক জানিয়ে লিখেছেন, ‘অসাধারণ সব স্মরণীয় সিনেমার জন্য ধন্যবাদ। শিল্পীদের অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আমাদের সিনেমাকে সমৃদ্ধ করার জন্য ধন্যবাদ। আপনাকে মনে পড়বে ইরফান, তবে আমাদের জীবন ও সিনেমায় আপনার উপস্থিতির জন্য আমরা চিরকৃতজ্ঞ। আপনাকে স্যালুট।’

অভিনেত্রী সোনম কাপুর ইরফান খানের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে লিখেছেন, ‘শান্তিতে ঘুমান ইরফান খান। আপনি জানেন না যখন আমার আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি ছিল আপনার দয়ালু আচরণ আমার জন্য কতটা মূল্যবান ছিল।’

অভিনেত্রী আনুশকা শর্মা টুইট বার্তায় ইরফানকে ‘কিংবদন্তি অভিনেতা’ উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘অনেক দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে এই টুইট পোস্ট করছি। তার পারফরম্যান্স আমাকে অনেক অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। তিনি লড়াই করেছেন কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ আমাদের ছেড়ে গেলেন। শান্তিতে ঘুমান ইরফান। ওম শান্তি।’