খাইরুল ইসলাম, ভান্ডারিয়া প্রতিনিধি।

বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের আগ্রাসী থাবায় বিশ্ব যেখানে থমকে দাড়িয়েছে সে মূহুর্তে দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো- অপারেটিভ ব্যাংক পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার বিপর্যস্ত ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ঋণের কিস্তি আদায় অব্যাহত রেখেছে। ভান্ডারিয়া বাজারের মুদি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিয়মিত কিস্তি আদায় লক্ষ্য করা গেছে। পিরোজপুর সদরে অবস্থিত দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের বিনিয়োগ কর্মীদের (ঋণ আদায় কর্মী) প্রতিনিয়ত ভান্ডারিয়া বাজারে দেখা যাচ্ছে। গত ২৩ মার্চ থেকে ভান্ডারিয়া বাজারের কাচাঁ মাল,ঔষধ,মুদি দোকান ব্যতীত সব ধরনের দোকান সরকারি ঘোষনা অনুযায়ী বন্ধ রয়েছে। যেসব দোকান খোলা রয়েছে তাহারও সীমিত আকারে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে। এহেন অবস্থায় ব্যবসায়ীরা ঋণের কিস্তি পরিশোধে সম্পুর্নরুপে অযোগ্য বলে ব্যবসায়ীদের দাবী রয়েছে। এদিকে জানা যায় যে, সরকারি ঘোষনায় ক্ষুদ্রঋণের কিস্তি আদায় বন্ধ করা হয়েছে।
গত ২২ মার্চ রোববার মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে। সার্কুলারে বলা হয়, বর্তমানে করোনা ভাইরাসজনিত কারণে বিশ্ববাণিজ্যের পাশাপাশি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। দেশের সার্বিক অর্থনীতির এ নেতিবাচক প্রভাবের ফলে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের ঋণগ্রহিতাদের ব্যবসা-বাণিজ্য তথা স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি বিধিমালা, ২০১০ এর বিধি ৪৪ অনুসরণে ১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে ঋণের শ্রেণিমান যা ছিল, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ওই ঋণ তার চেয়ে বিরূপ মানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না।
এ বিষয়ে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথোরিটির নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু মুখার্জ্জি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা আপাতত আগামী জুন পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধের বিষয়টি রিল্যাক্স করে সার্কুলার দিয়েছি। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে প্রয়োজনে এ সুবিধা আরও বাড়ানো হবে।
এমন অবস্থায় দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক কোন অবস্থায় ঋণের কিস্তি আদায় করছেন যাহা কারো বোধগম্য হচ্ছে না।