সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন ৯০-এর গণঅভুথানের ১৪ ছাত্রনেতা। আজ বৃহস্পতিবার (৭ মে) গণমাধ্যমে দেওয়া এক যুক্ত বিবৃতিতে যশোর কারাগারে থাকা ৯০-এর গণঅভূত্থানের সাহসী কর্মী কাজলের মুক্তি দাবি করেন তাঁরা।
বিবৃতিতে সাবেক ছাত্রনেতারা বলেন, গত ১০ মার্চ অপহরণের ৫৩ দিন পর বেনাপোল সীমান্ত থেকে উদ্ধার করা হয় সাংবাদিক কাজলকে। পরে তাঁর বিরুদ্ধে পাসপোর্ট ছাড়া বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে আরো তিনটি মামলা আছে বলে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো এবং তাঁকে পিছমোড়া করে হাতকড়া পরানো খুবই উদ্বেগের বিষয়। এটি মানবাধিকার পরিপন্থীও।
নেতৃবৃন্দ বলেন, শফিকুল ইসলাম কাজল একজন সৎ ও সাহসী সাংবাদিক। ৯০-এর গণঅভূত্থান, শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে করা গণআদালত-এ তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। এ ছাড়া ওয়ান ইলেভেনে সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর দুর্লভ সব ছবি ক্যামেরাবন্দি করেন। তাঁরা বলেন, শফিকুল ইসলাম কাজলকে উদ্ধার ও তাঁর মুক্তি চেয়ে অপহরণের শুরু থেকেই দেশের প্রগতিশীল রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক নেতাকর্মী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ সোচ্চার থেকেছে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, শফিকুল ইসলাম কাজলকে জীবিত উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যাঁরা ভূমিকা রেখেছেন, তাঁরা অবশ্যই প্রশংসনীয় কাজ করেছেন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কোনো একটি স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে আরো নতুন মামলা দিয়ে তাঁর মুক্তি প্রলম্বিত করা হলে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিসমূহই প্রাকারন্তরে লাভবান হবে। তাই সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে হয়রানি না করে দ্রুত মুক্তি দিয়ে সরকার ও রাষ্ট্র দায়িত্বশীল আচারণ করবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।
বিবৃতিদাতারা হলেন নাজমুল হক প্রধান, নূর আহমেদ বকুল, শফি আহমেদ, সিরাজুমমুনির, বজলুর রশিদ ফিরোজ, রুহিন হোসেন প্রিন্স, মোশরেফা মিশু, ফয়জুল হাকিম লালা, সুজাউদ্দিন জাফর, আমিরুল হক আমিন, জায়েদ ইকবাল খান এবং এম এ আওয়াল। এ ছাড়া একই দাবিতে প্রবাস থেকে বিবৃতি দিয়েছেন আরো দুই সাবেক ছাত্রনেতা। এঁরা হলেন শেখ মোস্তফা ফারুক ও আখতার সোবহান মাসরুর।