সানাউল্লাহ, দোহা(কাতার)প্রতিনিধি

কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে কম আলোচনা সমালোচনা হয়নি। অর্থ নিয়ে দুর্নীতি করে কাতারকে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে দেওয়ার অভিযোগে এর মধ্যেই জেলের মুখ দেখতে হয়েছে সাবেক ফিফা প্রেসিডেন্ট সেপ ব্লাটার এবং উয়েফা প্রেসিডেন্ট মিচেল প্লাতিনিকে। এছাড়াও স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ করা শ্রমিকদের মানবেতর জীবন যাপনের তথ্য চিত্রও উঠে এসেছে বিভিন্ন সময়ে। তবে তাতেও থেমে নেই কাতারের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি।সম্প্রতি করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে স্থবিরতা নেমে আসলেও এর কোনো ছাপ পড়েনি কাতারের স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজে। কাতারের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ সুপ্রিম কমিটি (এসজি) বিশ্বকাপের সকল নির্মাণ কাজের দায়িত্বে আছে। সবকিছু ঠিক ঠাক চললেও এখন পর্যন্ত ছয়টি স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার অপেক্ষায় আছে।

ভেন্যু গুলোর মধ্যে আল-বায়াত, আল-রায়ান অ্যান্ড এডুকেশনাল সিটি স্টেডিয়ামের কাজ শেষের পথে। এছাড়া আল-থুমামা, রাস আবু আবুদ অ্যান্ড লুসেইলের কাজ এখনো চলমান। লুসাইল স্টেডিয়ামটি কাতার ২০২২ বিশ্বকাপের সব থেকে বড় স্টেডিয়াম। যেখানে ৮০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। এই স্টেডিয়ামটিই ২০২২ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী এবং ফাইনাল ম্যাচ আয়োজন করবে।

সুপ্রিম কমিটি নিশ্চিত করেছে করোনাভাইরাসের কারণে নির্মাণ কাজে কোনো প্রকার ব্যাঘাত ঘটেনি। নিয়মমাফিক কাজ চলছে বাকি থাকা স্টেডিয়ামগুলোর। তবে করোনার আক্রমণ ঠেকাতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কমিটি। আগামি বছরেই সকল স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছে নির্মাণকারী সংস্থা। যা ফিফার বেঁধে দেওয়া সময়েরও এক বছর কম।