করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া পোশাক কারখানার শ্রমিক মৌসুমী আক্তারের লাশ তিস্তা নদীতে ফেলে দেওয়া ও দাফনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন রংপুরের মেয়ে মৌসুমী আক্তার। গত বৃহস্পতিবার অসুস্থতা অনুভব করলে যানবাহনের অভাবে ট্রাকের পেছনে করে তার গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে পথিমধ্যে কোন এক সময় ট্রাকেই মারা যায় সে।

ট্রাকচালক বিষয়টা টের পেরে রংপুরের তাজহাট নামক এলাকায় এসে মৃতদেহ রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে চলে যায় । এর পর স্থানীয় জনতার খবরে অজ্ঞাত হিসেবে তাজহাট থানা পুলিশ মৌসুমীর লাশ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

পরদিন শুক্রবার খবর পেয়ে মৌসুমির বাবা গোলাম মোস্তফা তাজহাট থানায় গিয়ে মেয়ের লাশ শনাক্ত করে বুঝে নেয়। এরপর নিজ গ্রামে লাশ দাফনের জন্য মৌসুমীর পিতা টেলিফোনে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুমতি চাইলে, চেয়ারম্যান ওই মরদেহ করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে দাফনের অনুমতি না দিয়ে লাশ পুড়িয়ে ফেলার হুমকি দেয় ।

নিষ্ঠুরতার সবেতো শুরু। আরও অনেকটাই এখনও বাকী। নিরূপায় হয়ে হতভাগ্য পিতা মেয়ের মরদেহ দাফন করতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকার লাশবাহী গাড়ির জনৈক চালকের সাথে ৫ হাজার টাকা চুক্তি করে তাকে লাশসহ সকল দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন।

গাড়ির চালক মরদেহ দাফনের আশ্বাস দিয়ে গোলাম মোস্তফাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে মরদেহটিকে কিছুদূরের তিস্তা নদীতে ফেলে দেয়। দুই দিন পর মহিষখোচা ইউনিয়নের গোবর্দ্ধন গ্রামের স্থানীয় জনতা তিস্তা নদীতে লাশ সন্ধেহে ভাসমান বস্তু দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে আদিতমারী থানা পুলিশ সরকারি ব্যাগে মোড়ানো মৌসুমির আধপঁচা লাশ পুনরায় উদ্ধার করে।