করোনাভাইরাসের কারণে টানা ৬৬ দিন বন্ধ ছিল পুঁজিবাজার। গত ৩১ মে থেকে পুঁজিবাজারে ফের লেনদেন শুরু হয়েছে। তবে বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার অংশগ্রহণ কম থাকায় লেনদেনে গতি পাচ্ছে না। গতকাল বৃহস্পতিবার বিগত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে। অর্থাৎ ২০০৭ সালের ২৪ এপ্রিলের পর পুঁজিবাজারে এমন কম লেনদেন হলো। 

সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রথম দিন রবিবার সূচকে উত্থান হলেও পরদিন থেকে পতনের মুখে পড়েছে পুঁজিবাজার। তবে শেয়ারের দামে ফ্লোর বা নির্দিষ্ট প্রাইস বেঁধে দেওয়ায় বড় উত্থান-পতন নেই। কিন্তু লেনদেন বাড়ছে না। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ১০ পয়েন্ট। আর লেনদেন মাত্র ৪২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা, যা ১৩ বছর এক মাস ১১ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। ২০০৭ সালের ২৪ এপ্রিল ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৪০ কোটি ৩৯ লাখ টাকার। 

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ২৩৭ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে চার কোটি ৫৯ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৯টির, দাম কমেছে ১৯টির আর ৭৫টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।