বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে একটি মাদরাসার অফিস সহকারীকে মারধর ও জুতার মালা পরিয়ে হেনস্থা করার ঘটনায় পুলিশ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মেহেন্দিগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- দরিচর-খাজুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা রাঢ়ী, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুস ছত্তার সিকদার এবং বজলু আকনকে গ্রেপ্তার করে। বরিশাল জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. নাঈমুল হকের নেতৃত্বের মেহেন্দিগঞ্জ পৌর সদর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. নাঈমুল হক গ্রেপ্তারকৃত ইউপি চেয়ারম্যানসহ ওই তিনজনই এজারভুক্ত আসামি। এজাহারভুক্ত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন এলাকায় অভিযান অব্যহত রয়েছে। 

এর আগে গতকাল সকালে হেনস্তার শিকার দরিচর-খাজুরিয়া দাখিল মাদরাসার ওই অফিস সহকারী শহিদুল ইসলাম আলাউদ্দিন থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এতে দরিচর-খাজুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা রাঢ়ীকে প্রধান করে স্থানীয় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহীদ দেওয়ান, সাবেক ইউপি সদস্য ইউনুস বয়াতি ওরফে কামরুজ্জামান, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুস ছত্তার সিকদারসহ ১৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

গত বুধবার বিকেলে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সালিসের নামে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার দরিচর-খাজুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে স্থানীয় মাদরাসার অফিস সহকারী শহিদুল ইসলাম আলাউদ্দিনকে মারধর ও জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা করা হয়।

এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। এ ভিডিওতে দরিচর-খাজুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা রাঢ়ী, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আব্দুস ছত্তার সিকদার এবং স্থানীয় চৌকিদারকে ওই কেরানিকে জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা করার দৃশ্য রয়েছে।