সোহেল রানা, মালয়েশিয়া প্রতিনিধি।

মালয়েশিয়ার সমুদ্রপথে রোহিঙ্গার ঢল, ৩শ জনকে ফিরিয়ে দিলো নৌবাহিনী মুত্যু ঝুকি নিয়ে সাগরপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া প্রবেশে অভিবাসন প্রত্যাশী রোহিঙ্গাদের মৃত্যুর মিছিল যেন থামছেই না। এভাবে মালয়েশিয়ায় সমুদ্রপথে কত রোহিঙ্গার সলিল সমাধি হয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান কারো জানা নেই। মঙ্গলবার (৯ ই জুন) মায়ানমার ও কক্সবাজার থেকে আসা প্রায় ৩০০ রোহিঙ্গা পুরুষ, নারী শিশু বোঝাই একটি বড় ট্রলার মালয়েশিয়ার উপকুল ব্যবহার করে স্থলভাগে প্রবেশ করতে চাইলে দেশটির নৌবাহিনীর বাধার মুখে পড়ে অবশেষে এখন থাইল্যান্ডের কাছে আন্দামান দীপপুঞ্জে অবস্থান করছে। দেশটির জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম এক বিশেষ প্রতিবেদনে এই খবর প্রকাশ করেছে। মাত্র কয়েকদিন আগেও সাগর থেকে অভুক্ত এবং অসুস্থ ২৬৯ জন রোহিঙ্গা উদ্ধার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের ধারনা এসময় আরো প্রায় কয়েক শতাধিক রোহিঙ্গা অভিবাসী সাগরে নিমজ্জিত হয়েছে। রোহিঙ্গা অভিবাসীদের ঢল সামলাতে না পেরে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে সরকার। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসমাইল সাবরি বলেন, আমরা রোহিঙ্গাদের চাপ নিতে পারছি না তাই বাংলাদেশ সরকার কে বলবো তাদের ফিরিয়ে নিতে। তবে আন্তর্জাতিক বিশারদগন বলছেন মন্ত্রীর এ ধরনের বক্তব্যের কোন ভিত্তি নেই কারন মায়ানমারের রোহিঙ্গা জাতি কে কেন বাংলাদেশ ফিরিয়ে আনতে হবে যখন তারা এই দেশের শরনার্থী মাত্র কোন স্থায়ী নাগরিক নয়।

মালয়েশিয়ার মেরিটাইম এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি (এপিএমএম) মহাপরিচালক দাতুক মোহাম্মদ জুবিল ম্যাট স্থানীয় সংবাদমাধ্যম কে জানিয়েছেন, আমরা ধারনা করছি বিগত ৪ মাস আগে বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী চক্রের সহযোগিতায় কয়েকটি বড় ট্রলারে করে অসংখ্য রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠী মালয়েশিয়ার উদ্যেশ্যে যাত্রা করে, এই চারমাস সমুদ্রে খাদ্য পানি বিহীন অবস্থায় কাটায়। তিনি আরো বলেন, মায়ানমার ও থাইল্যান্ডের একটি মানবপাচারকারী চক্র তাদের সংগঠিত করে মালয়েশিয়ায় পাচারের জন্য অপেক্ষা করছে এবং নৌবাহিনীর বাধায় পড়ে এখন গভীর সমুদ্রের আন্দামান দীপপুঞ্জের কোহ আদাঙ্গ দ্বীপে লুকিয়ে আছে পরবর্তীতে মালয়েশিয়া প্রবেশের কোন সুযোগের অপেক্ষায়। চক্রটি দীর্ঘ চারমাস ধরে ট্রলারের জ্বালানি, খাদ্য পানির ব্যয় বহন করে কাঙ্খিত দেশে পৌছানোর পর তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে ব্যয়কৃত অর্থ পুনরুদ্ধার করে। এসময় তিনি হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, আমরা যেকোন কঠোর উপায়ে এই ধরনের মানবপাচার প্রতিরোধ করবো।