সানাউল্লাহ দোহা(কাতার)প্রতিনিধি

কাতারে বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় শ্রমিকদের বসবাস রোধে গত দু মাস ধরে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। কাতার শ্রম মন্ত্রণালয়, পরিবেশ ও পৌরসভা মন্ত্রণালয় এবং কাতার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা দোহা থেকে শুরু করে নাজমাসহ বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযানে অংশ নিচ্ছেন। ২০ এপ্রিল থেকে শুরু করে ২০ জুন পর্যন্ত দু মাসে এক হাজার ২৪৫টি বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এই বাড়িগুলোতে বিভিন্ন ক্লিনিং কোম্পানি ও লিমুজিন কোম্পানির এবং কন্ট্রাক্টিং কোম্পানির শ্রমিকরা থাকতেন। যেসব কোম্পানি তাদের কর্মীদেরকে অবৈধভাবে আবাসিক এলাকায় রেখেছে, তাদের কাছে মোট ৪ হাজার ৬১৬টি এসএমএস পাঠিয়েছে শ্রম মন্ত্রণালয়। এ সময় এক সপ্তাহের মধ্যে এসব বাড়ি থেকে শ্রমিকদেরকে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে দ্বিতীয় ধাপে এসব বাড়িতে আবারও অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় কর্মকর্তারা দেখতে পান, প্রায় ৪৬৫ টি কোম্পানি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মেনে শ্রমিকদেরকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। পাশাপাশি এক রুমে বেশিসংখ্যক শ্রমিক না রাখতে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সেটাও মানতে শুরু করেছে অনেক কোম্পানি। করোনাভাইরাস রোধে সবার মধ্যে পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে কাতার শ্রম মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এক রুমে বেশিসংখ্যক শ্রমিকের বসবাস নিষিদ্ধ করে। যেসব কোম্পানি এই আদেশ অমান্য করে শ্রমিকদেরকে দোহায় একসঙ্গে চার-ছয়জনের বেশি শ্রমিককে এক রুমে রাখছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে শ্রম মন্ত্রণালয় ও বালাদিয়ার পক্ষ থেকে।