সানাউল্লাহ, দোহা(কাতার)প্রতিনিধি।

৮ অক্টোবর থেকে আবার শুরু হচ্ছে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের অবশিষ্ট ম্যাচগুলো। ইতোমধ্যে চার ম্যাচ শেষ করা বাংলাদেশের বাকি চার ম্যাচের তিনটি খেলাই হোমে।

৮ অক্টোবর বাংলাদেশের ম্যাচ আফগানিস্তানের সাথে। এরপর ১৩ অক্টোবর কাতারের মাঠে খেলা। ১২ ও ১৭ নভেম্বর লাল-সবুজদের পরের দুই ম্যাচ যখাক্রমে ভারত ও ওমানের বিপক্ষে।

আগে বাংলাদেশের এই ম্যাচগুলো হওয়ার কথা ছিল মার্চ ও জুন মাসে; কিন্তু করোনার কারণে তা পিছিয়ে এখন অক্টোবর নভেম্বরে।

২৬ মার্চ বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল সিলেট স্টেডিয়ামে। এই খেলা প্রথমে হওয়ার কথা ছিল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে; কিন্তু ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের কারণে তা সিলেটে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় বাফুফে। করোনা কোনোটাই হতে দেয়নি।

এখন এই করানোর জন্যই বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের তিন হোম ম্যাচের সবগুলোই হবে একটি ভেনুতে। এমনটাই পরিকল্পনা বাফুফের। আর তা বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই। অবশ্য সবকিছুই নির্ভর করছে করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতির ওপর।

বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের বাকি ম্যাচগুলো কিভাবে আয়োজন করতে হবে সে গাইড লাইনও দেবে এএফসি। তবে তা জুলাই মাসে। এর বাইরে গেলে জরিমানার আশঙ্কা।

বাফুফে সেক্রেটারি আবু নাইম সোহাগের মতে, ‘এএফসি যে গাইড লাইন দেবে তা পুরোপুরি মেনে চলতে গেলে একাধিক ভেনুতে খেলা আয়োজন খুব কঠিন। তাই আমাদের পরিকল্পনা এক ভেনুতেই সব খেলা করার।’

অবশ্য এএফসি কাপের মতো নিরপেক্ষ ভেনুতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে চায় না বাংলাদেশ। এই দাবি এখনো ওঠেনি। বাফুফে সেক্রেটারির মতে, চার ম্যাচের তিনটিই আমাদের হোম। কেন আমরা নিজ মাঠে নিজস্ব দর্শকের সামনে খেলার সুযোগ নষ্ট করে নিরপেক্ষ ভেনুতে খেলতে যাবো?