চুক্তির মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির সুযোগ বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টরিং কোম্পানি, বিদেশি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বাণিজ্যে অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান ও বীমা কোম্পানির মূল্য পরিশোধের নিশ্চয়তা সাপেক্ষে বাকিতে পণ্য রপ্তানি করা যাবে। এ প্রক্রিয়ায় রপ্তানির ক্ষেত্রে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান পণ্যমূল্য পরিশোধে ব্যর্থ হলে এসব প্রতিষ্ঠান রপ্তানি মূল্য পরিশোধ করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন বুধবার জারি হয়েছে। সাধারণত ঋণপত্র বা এলসির মাধ্যমে আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এক্ষেত্রে ব্যাংক ক্রেতার থেকে মূল্য সংগ্রহ করে বিক্রেতাকে এনে দেয়। এতে ৩০ থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। অন্যদিকে চুক্তিতে পণ্য আদান-প্রদানের বিষয়টি বিশ্ব বাণিজ্যে নতুন নিয়ম। এক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতা নিজেরাই চুক্তি করে। তৃতীয় পক্ষ কমিশন নিয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতাকে পণ্য ও পণ্যমূল্য বুঝিয়ে দেয়ার দায়িত্ব নেয়। এ ব্যবস্থায় বিক্রেতা তুলনামূলক আগাম পণ্যমূল্য পেয়ে থাকেন।
বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরাও ঋণপত্র ছাড়া চুক্তির আওতায় বাকিতে রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারের পরে এ কার্যক্রম আরও ঝুঁকিমুক্তভাবে করতে পারবেন রপ্তানিকারকরা।