আর মাত্র ২ মাস পর সেপ্টেম্বরে নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন শান্তাকুমারন শ্রীশান্ত। ভারতের এই পেসার ২০১৩ সালের আইপিএলে ম্যাচ ফিক্সিং করে আজীবন নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে আদালতের মাধ্যমে সেটা তিনি কমিয়ে আনেন। স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকায় তার সঙ্গে অজিত চান্ডিলা এবং অঙ্কিত চাহানকে আজীবন নির্বাসিত করেছিল বিসিসিআই। এদের মাঝে সবচেয়ে প্রতিভাবান এবং বড় তারকাখ্যতি ছিল শ্রীশান্তের।
২০১৫ সালে স্পট ফিক্সিং মামলা থেকে মুক্তি পেলেও বিসিসিআই কিন্তু শ্রীশান্তের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেনি। বোর্ডের এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে কেরালা হাইকোর্টে মামলা করেন শ্রীশান্ত। সেখানে আদালতের নির্দেশে শ্রীশান্তের নির্বাসনের মেয়াদ কমে ৭ বছরে নেমে আসে। সম্প্রতি সাবেক এই পেসার অভিযোগ করেছেন যে, ফিক্সিংয়ের ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর তাকে নাকি জিজ্ঞাসাবাদের নামে জঙ্গিদের মতো নির্যাতন করা হতো!
এক সাক্ষাৎকারে শ্রীশান্ত বলেছেন, আইপিএলের একটি ম্যাচের পর একটি পার্টি থেকে তাকে সরাসরি নিয়ে জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের নামে জঙ্গিদের মতো আচরণ করা হতো। প্রতিদিন ১৬-১৭ ঘণ্টা করে জিজ্ঞাসাবাদ চলেছিল টানা ১২ দিন।সেইসব জিজ্ঞাসাবাদের নামে যে নির্যাতন করা হতো, সেসব মনে পড়লে এখনও শিউরে ওঠেন শ্রীশান্ত। সেইসব দিন এখন অতীত। এখন সেপ্টেম্বরে নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে কেরালা দলের হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে খেলার স্বপ্ন দেখছৈন শ্রীশান্ত।