আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ত্রাণ চুরিসহ নানা অপরাধে যারা গ্রেপ্তার হচ্ছে, তাদের পরিচয় তারা অপরাধী এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত তারাও অপরাধী।
তিনি বলেন, সরকার নিজের দলের লোকজনকেও এ ব্যাপারে ছাড় দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী ত্রাণে অনিয়ম, মজুদ করা-এসব অপরাধের জন্য ইতোমধ্যেই অনেককেই গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন। তারা গ্রেপ্তার হয়ে জেলে আছেন।
ওবায়দুল কাদের আজ রবিবার জাতীয় সংসদ ভবন এলাকাস্থ তার সরকারি বাসভবনে আয়োজিত এক আনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
‘সরকার জেল ভর্তি করে ফেলেছে’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ত্রাণ চুরিসহ নানা অপরাধে যারা গ্রেফতার হচ্ছেন তাদের পরিচয়, তারা অপরাধী। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন আদালত কি ব্যবস্থা নেবে না?
তিনি বলেন, বিএনপির কোনও শীর্ষ নেতা কিংবা কেন্দ্রীয় কমিটির কোনও নেতা জেলে গেছেন? তারপরও বিএনপি প্রতিদিন অশ্লীল ভাষায় সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে। আর সরকার সহনশীলতার পরিচয় দিচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার উন্নয়নমুখী সরকার। জনগণের জীবনমান উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তায় চলমান উন্নয়ন প্রবাহ ধরে রেখেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সচেষ্ট। বছরের পর বছর নানা দুর্যোগ মোকাবিলা করেই আজকের উদীয়মান অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ। সংকটে নেতৃত্ব দিয়ে যাওয়া জনগণের দৃঢ় আস্থার অপর নাম শেখ হাসিনা।
সরকারকে বর্তমানে তিনটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, করোনার সংক্রমণ রোধ ও অসহায় মানুষকে সুরক্ষা, বন্যাকবলিত ১২টি জেলার মানুষের সুরক্ষা এবং আসন্ন ঈদে মানুষের ভিড় এড়ানো। রোজার ঈদে মানুষের অবাধ চলাচল, ভিড় সংক্রমণের মাত্রাকে বাড়িয়ে দিয়েছিল। কোরবানির ঈদে এ সমাগম ও ভিড় যেকোনও মূল্যে এড়াতে হবে। নিজেদের বেঁচে থাকার স্বার্থেই এটা করতে হবে।