সোহেল রানা, মালয়েশিয়া প্রতিনিধি।
মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
মালয়েশিয়ার নবনিযুক্ত মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি এম. সারাভানানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মহ. শহীদুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) দাতুক সেরির কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় তারা বাংলাদেশি কর্মী এবং দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া মালয়েশিয়ায় কর্মরত শ্রমিকদের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে ও আলোচনা হয়।
আলোচনাকালে হাইকমিশনার করোনা নিয়ন্ত্রণের সফলতার জন্য মালয়েশিয় সরকারের প্রশংসা করেন। বিশেষ করে করোনার কারণে বিপদগ্রস্ত প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের নিকট খাবার সহায়তা পৌঁছে দেওয়া, চাকরি ও বেতন নিশ্চিত করা, প্রয়োজনীয় কোয়ারেন্টাইন এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য হাইকমিশনার ধন্যবাদ জানান।
তিনি করোনা পরিস্থিতির শিকার হয়ে বাংলাদেশি কর্মীকে যাতে নিজ দেশে ফিরে যেতে না হয় এজন্য নিয়োগকর্তা পরিবর্তনের সুযোগ প্রদান করায় মালয়েশিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
এসময় মন্ত্রী বলেন, ডিটেনশন সেন্টারে থাকা বিদেশীদের বৈধতা দিয়ে কর্মস্থলে নিয়োগ এবং অবৈধদের বৈধতা প্রদানের জন্য মালয়েশিয়া সরকার কাজ করছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের নাগরিক অনেক পরিশ্রমী, দক্ষ এবং আন্তরিক। তারা মালয়েশিয়ার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে এবং এসকল কর্মীদের সুরক্ষা প্রদান করা হবে। এছাড়া নিয়োগকর্তারা যাতে বিদেশী কর্মীদের সুরক্ষিত কর্মপরিবেশ, যথাযথ আবাসন এবং নিয়মিত বেতন নিশ্চিত করে সে সকল বিষয়ে মালয়েশিয়া সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব প্রদান করেছে।
তিনি বলেন, বিদেশী কর্মীদের সার্ভিস বেনিফিট প্রদান করা হবে এবং সেভিংসের ব্যবস্থা করা হবে যাতে একেবারে শুন্য হাতে নিজ দেশে ফিরে না যায়।
হাইকমিশনার বলেন, মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে ছুটিতে যাওয়া বাংলাদেশি কর্মীরা কাজে যোগ দিতে চায় এবং অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে কেননা ছুটিতে থাকায় পারমিট রিনিউ করতে পারে নি।
এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, যাদের ভিসার মেয়াদ আছে তারা নিয়ম মেনে মালয়েশিয়া আসতে পারবেন এবং যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে তারা যাতে আবার মালয়েশিয়ায় আসতে পারে সে বিষয়ে সরকার শীঘ্রই ঘোষণা দিবে।
সাক্ষাৎকালে মানব মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল দাতুক মোহা খাইর আজমান বিন মোহামেদ আনুয়ার, আন্ডার সেক্রেটারি (পলিসি) ড. নুর মাজনি বিনতি আবদুল মজিদ, আন্ডার সেক্রেটারি ড. জাকি বিন জাকারিয়া, প্রিনসিপয়াল এসিস্টেন্ট সেক্রেটারি শাবুদ্দিন বিন বকর এবং হাইকমিশনের লেবার কাউন্সেলর জনাব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, লেবার কাউন্সেলর মো. হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল এবং ২য় শ্রম সচিব জনাব ফরিদ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।