শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যানে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ হাজার ৯৫৬ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। ২৪ ঘণ্টার নিরিখে যা এখনও অবধি সর্বোচ্চ। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হলেন ১০ লাখ তিন হাজার ৮৩২ জন। আক্রান্তের সঙ্গে সংক্রমণের হারও ঊর্ধ্বমুখী। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সংক্রমণের হার ৯.৮ শতাংশ।
বৃহস্পতিবারই বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স, আইআইএসসির এক সমীক্ষাতে বলা হয়েছে, এখনকার হারে বাড়তে থাকলে আর মাত্র দেড় মাসে অর্থাৎ সেপ্টেম্বরের গোড়ায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে যেতে পারে ৩৫ লাখ। কিন্তু তারপর কমবে কিনা আপাতত উত্তর জানা নেই কারও।
আক্রান্তের পাশাপাশি ধারাবাহিকভাবে বেড়ে মৃত্যু ছাড়াল সাড়ে ২৫ হাজার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ৬৮৭ জনের। এ নিয়ে দেশে মোট ২৫ হাজার ৬০২ জনের প্রাণ কাড়ল করোনা।
এদিকে করোনা মহামারির জেরে দেশের অর্থনীতিতে কী প্রভাব পড়েছে, তা খতিয়ে দেখতে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার রাতে অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রকের ৫০ জন শীর্ষ আমলাদের সঙ্গে আলোচনায় পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য নিয়েছেন তিনি।
সূত্রের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর মূল উদ্দেশ্য ছিল কীভাবে ফের অর্থনীতিকে দ্রুত চাঙ্গা করা যায়, তার উপায় বের করা। করোনার জেরে দেশে দীর্ঘ লকডাউনের ফলে বহু কল-কারখানা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বহুদিন বন্ধ ছিল। তার বিরূপ প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতে। চাহিদা ও উৎপাদন কমে যাওয়ায় গত কয়েকটি ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধির হার থমকে গিয়েছে। এই অবস্থায় অর্থনীতির চাকা দ্রুত ঘোরাতে না পারলে দেশে আর্থিক মন্দার পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
খবর, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক হয়েছে। সেখানে পরিস্থিতি নিয়ে প্রেজেন্টেশন দিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রকের কর্তারা। শীর্ষস্থানীয় আমলাদের কাছ থেকে বিস্তারিত বিবরণ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগে নরেন্দ্র মোদি আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদ, অর্থমন্ত্রক এবং নীতি আয়োগের চিফ ইকোনমিক অ্যাডভাইসর ও প্রিন্সিপাল ইকোনমিক অ্যাডভাইসরদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছেন বলে জানা গেছে।