যেকোনো ঈদে দেশের অভ্যন্তরীণ রুটগুলোতে আকাশপথের টিকিট মানেই যেন সোনার হরিণ। এই টিকিট কিনতে যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতেও দেখা গেছে। যাত্রীদের মুখে ভোগান্তির কথা গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচারও করা হয়ে থাকে। এসব খবরে বলা হয়, বেশিরভাগ সময়ই ‘ঈদের টিকিট’ নাকি বিক্রি হয়ে যায় তিন মাস আগেই!
আর সবকিছুর মতো করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ বদলে দিয়েছে এই চিত্র। সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রেক্ষাপটে হাজির হয়েছে এবারের ঈদুল আজহা। আর সেই প্রেক্ষাপটের কারণেই বিমানের টিকিট কিনতে তেমন তোড়জোড় নেই যাত্রীদের মধ্যে।
এয়ারলাইন্সগুলো বলছে, অন্যান্যবার ঈদের আগে যাত্রীদের ঘরমুখো হওয়ার যে চাপ দেখা যেত, এবার তার ছিটেফোঁটাও নেই। অথচ ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র চার দিন। ফলে ঈদ সামনে রেখে কোনো এয়ারলাইন্সকেই অভ্যন্তরীণ রুটে বাড়তি ফ্লাইট যোগ করতে হয়নি। বাড়তি ফ্লাইট যুক্ত করবে কী, এয়ারলাইন্সগুলো রীতিমতো যাত্রীহীনতায় ভুগছে বলে জানাচ্ছে!
করোনাভাইরাসের কারণে মূলত মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই দেশের অভ্যন্তরীণ সব রুটে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। দফায় দফায় বন্ধের মেয়াদ বাড়ানোর পর শেষ পর্যন্ত ১ জুন থেকে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলতে শুরু করে। তবে যাত্রী স্বল্পতার কারণে গত প্রায় দুই মাসে অনেক ফ্লাইটই বাতিল হয়েছে।