ঈদের ছুটিতে শুক্রবার সপরিবারে সুনামগঞ্জ ফিরছিলেন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে কর্মরত ব্র্যাক আদমপুর শাখার ব্যবস্থাপক স্বপন কুমার সরকার (৫০)। কিন্তু সেই আনন্দ এখন বিষাদে পরিণত হলো। রাস্তায় দূরপাল্লা একটি বাস স্বপন কুমার, স্ত্রী লাভলী রানী ও দুই ছেলে ও কার চালকের প্রাণ কেড়ে নিল। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারালেন ৫ জন। ছোট ছেলে মুমূর্ষু অবস্থায় ওসমানী মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন।
নিহতের মধ্যে কার চালকের বাড়ি কমলগঞ্জে গোবিন্দপুর ও বাকী ৪ জনের বাড়ি দিরাই সুনামগঞ্জ। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (৩১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টায় সিলেট ওসমানী নগরের তাজপুর এলাকার লামা বাজার নামক স্থানে।
ব্র্যাক কমলগঞ্জ শাখার সূত্র জানায়, ঈদের ছুটিতে ভানুগাছ বাজার থেকে একটি প্রাইভেট কার ভাড়া করে সকাল ৭টায় আদমপুর অফিস থেকে ব্যবস্থাপক স্বপন কুমার সরকার, স্ত্রী লাভলী সরকার (৪২), বড় ছেলে সৌরভ দাস, মেজ ছেলে স্বাধীন দাস ও ছোট ছেলে প্রবীন দাসকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জ যাচ্ছিলেন।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় সিলেটের ওসমানী নগর এলাকার তাজপুর নামক জায়গায় ঢাকাগামী দূরপাল্লা যাত্রীবাহী বাস এনা পরিবহনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে কারটি গাড়ির সামনে ঢুকে পড়ে। গাড়িচাপায় ঘটনাস্থলেই প্রাইভেট কারের ভেতর ব্র্যাক কর্মকর্তা স্বপন কুমার সরকার, স্ত্রী লাভলী সরকার, দুই ছেলে ও কার চালক আবুল হাসেম নিহত হন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস দল ছুটে এসে নিহতের উদ্ধার করে।
ওসমানী নগর হাইওয়ে পুলিশের ওসি মোবাইলে ফোনে ঘটনার নিশ্চিত করে বলেন, লাশগুলো ময়না তদন্ত করার জন্য মর্গে নেওয়া হয়েছে। বিকালে লাশ পরিবারে কাছে হস্তান্তর করা হবে।
গাড়ির পেছনের সিটে নিচে আহত অবস্থায় এক ছেলেকে উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদে কমলগঞ্জে ব্র্যাক পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কমলগঞ্জে কার চালক আবুল হাসেমের গ্রামের বাড়ি আলীনগরে গোবিন্দপুরে চলছে শোকের মাতম। নিহতের এক মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে। নিহত কার চালকের ভগ্নিপতি আব্দুল জলিল জানান, তার বোনের জামাই লাশ আনতে সিলেট রওয়ানা দিয়েছেন দুপুরে। ঈদের আনন্দ এখন দুঃখে পরিণত হলো।