চুনারুঘাট প্রতিনিধিঃ

চুনারুঘাট সীমান্তে চিমটিবিল খাস গ্রামে একটি পরিবারকে সমাজচ্যুত করার ঘটনা নিয়ে তোলপার চলছে। বিষয়টি নিয়ে সচেতন মহলে চলছে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা। পুলিশ ইতিমধ্যে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। গত ২ ডিসেম্বর আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের চিমটিবিল খাস গ্রামের মৃত নুর ইসলামের মেয়ে হামিদা খাতুন থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, তার ভাই আইয়ুব আলী, বোন জোসনা খাতুন সহ গ্রামের কয়েকজন মুরুব্বি প্রায় ৭ মাস আগে তাকে সমাজচ্যুত করে বসত ঘর থেকে বের করে দিয়ে বসত ঘরের দরজায় তালা মেরে দেয়। বিষয়টি বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার হওয়ার পর এ প্রতিনিধি সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

চিমটিবিল মসজিদের ইমাম সিরাজ উদ্দিন বলেন, চিমটিবিলে এ যাবৎ কালে সমাজচ্যুতির কোনো ঘটনা ঘটেনি। হামিদার সন্তানরা নিয়মিত মক্তবে আশা যাওয়া করছে। গ্রামের মুরুব্বি ফালান মিয়া, মোহাম্মদ আলী, ইমান আলী, লাল মিয়াসহ আরও অনেকেই বলেছেন,তাদের গ্রামে কাউকে সমাজচ্যুত করা হয়নি। হামিদা এবং তার বর্তমান স্বামী কাজল মিয়াকে হামিদার বাবার বসত ভিটায় থাকা নিয়ে হামিদার অন্যান্য ভাই বোনদের আপত্তি থাকায় হামিদা সন্তান সহ স্বামীর বাড়িতে চলে যায়।

গত ৭ মাস ধরে স্বামীর বাড়িতেই বসবাস করে আসছে হামিদা। তবে, একটি সূত্র বলছে, হামিদার ১ম স্বামী আঃ জলিল মারা যাওয়ার ৩৬ দিন পর সে কাজল মিয়াকে কোর্টে গিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের ১ বছর পর হামিদা কাজলকে রেজিস্ট্রি মূলে তালাক দেয়। এর কয়েক দিন পর আবার কাজল মিয়ার সাথে হামিদা ঘর-সংসার শুরু করলে এ নিয়ে চিমটিবিল গ্রামের সাথারন মানুষের মাঝে কানাঘুষা ও সমালোচনা শুরু হয়। এ কারণে হামিদার স্বজনরা হামিদাকে বাবার বাড়ি ছেড়ে স্বামীর বাড়িতে চলে যাওয়ার চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখলে হামিদা বাবার বাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়।

হামিদার বোন জোসনা খাতুন বলেন, আমরা হামিদাকে অনেক বুঝিয়েছি সে তার মনগড়া চলাফেরা থেকে বিরত থাকেনি। তাই তার সাথে একই বাড়িতে থাকা আমাদের সম্ভব হয়ে উঠেনি। মামলার বাদী হামিদা বলেন,তার বর্তমান স্বামীর জমি রক্ষার স্বার্থে তাকে রেজিস্ট্রার মূলে তালাক দিয়ে আবার বিয়ে করতে হয়েছে। এটা তার ভাই বোন ও গ্রামের মুরুব্বিয়ান মেনে না নিয়ে তাকে ও তার স্বামী সন্তানকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়।

এ কারনে ৭ মাস পর বাবার বাড়ি থেকে বিতাড়িত অবস্থায় থেকে আইনের আশ্রয় নেই। এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার ওসি আলী আশরাফ বলেন,সমাজচ্যুতের ঘটনার কোন আলামত পাওয়া যায়নি।