মোঃ আব্দুল হান্নান, ক্রাইম রিপোর্টার সিলেট।
ঘটনাটি ঘটেছে হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার ১ নং গাজীপুর ইউনিয়নের কোনাগাও গ্রামে। ১১ ই অক্টোবর সোমবার রাত ১০ ঘটিকায় ৬ বৎসর এর পুত্র সন্তান এর জননী শারমিন আক্তার (মারিয়া) পাশের বাড়ির দেবর কালা মিয়ার পুত্র শাকিল মিয়া (১৭)। শারমিনের শশুর বাড়ির দেবর – ভাবির গল্প গোজবের সময় বাড়ির লোকজন ছমদ মিয়া.. দুফরাজ মিয়া.. রেজু মিয়া..লিটন মিয়া..এসব লোকজন অনৈতিক কাজের অভিযোগ করে শাকিল মিয়া ও তার ভাবি শারমিন আক্তার কে শিকল দিয়ে বেধে রাত বর শারিরীক নির্যাতন করেন। নির্যাতনের সময় শারমিনের স্বামী ঢাকায় ছিলেন। এসব ঘটনা আশেপাশের লোকজন সহ আজাদ মেম্বার.. সাবেক নুর মেম্বার.. সহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কোনো সুরাহা না করেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। সাবেক নুর মেম্বার জানান উভয় পক্ষই উনার নিকটতম আত্মীয়। অনাহারে শারমিন ও সাকিল শিখলে বন্দী অবস্থায় রাত্রি যাপন করে।
ঘটনার পরের দিন সকালে আজাদ মেম্বার.. সাবেক নুর মেম্বার ছেলে – মেয়েকে জিজ্ঞেসাবাদ করে ও কোনো সুরাহা না করতে পেরে বিকাল ৪ ঘটিকা পর্যন্ত সময় দিয়ে প্রশাসন কে অবগত না করিয়েই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। বিকাল ৪ ঘটিকার পূর্বেই সাবেক নুর মেম্বার এর নির্দেশে বাড়ির লোকজন শারমিন ও তার দেবর সাকিল মিয়াকে একত্রিতে শিখল দিয়ে বেধে পায়ে হেঁটে রাস্তা দিয়ে ১ নং গাজীপুর ইউ/পি কার্যালয়ে নিয়ে চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির খাঁন কে বিষয়াদি অবগত করেন। চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির খাঁন শিকল পরা অবস্থায় দেখতে পেয়ে শারমিন ও তার দেবর সাকিল কে জিজ্ঞেসাবাদ করলে উভয়ই নির্যাতনের কথা চেয়ারম্যান সাহেব কে অবহিত করেন। চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির খাঁন উভয় পক্ষের গার্জিয়ান কে খবর দিয়ে ইউ/পি কার্যালয়ে উপস্থিত করে মারিয়া ও সাকিল কে উভয় পক্ষের গার্জিয়ানের হাতে সমজিয়ে দেন। উভয় পক্ষই চিকিৎসার জন্য চুনারুঘাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো পক্ষের মধ্যেই মামলা মোকাদ্দমার খবর পাওয়া যায়নি।