মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বায়োটেক প্রতিষ্ঠান মডার্নার পরীক্ষামূলক কভিড-১৯ ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে আলোচনা করছে প্রতিষ্ঠানটি। পরিকল্পনা করা হচ্ছে, ভ্যাকসিনের প্রতিটি ডোজের মূল্য নির্ধারণ করা হতে পারে ৩২ ডলার থেকে ৩৭ ডলার। এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে মডার্না ফার্মা।
মডার্না ফার্মা ও ফাইজার পৌঁছে গেছে করোনার ভ্যাকসিন তৈরির শেষ ধাপে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের ওপর এই ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হবে। ভ্যাকসিনটির নাম এমআরএনএ-১২৭৩। আশা করা হচ্ছে, এই ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়া যাবে চলতি বছরের অক্টোবরে।
সংস্থাটি বুধবার জানিয়েছে, এরই মধ্যে ভ্যাকসিনের সরবরাহের জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় চারশ মিলিয়ন ডলারের ডিপোজিট পেয়েছে সংস্থাটি। মডার্না ফার্মার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিফেন বানসেল বলেছেন, যেহেতু আমরা একটি বাণিজ্যিকভিত্তিক কম্পানির সঙ্গে কাজ করছি, তাই করোনা মহামারির মুখে একটি দায়বদ্ধ মূল্যনির্ধারণের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করছি।
করোনা টিকা তৈরির জন্য মার্কিন প্রশাসনের কাছ থেকে প্রায় এক বিলিয়ন ডলার পেয়েছে মর্ডানা। প্রতিষ্ঠানটির ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়েছে গবেষণাগারে কৃত্রিমভাবে তৈরি এমআরএনএ দিয়ে। এমআরএনএ হলো একটি জেনেটিক কোড, যার নির্দেশে কোষগুলো প্রোটিন তৈরি করে। এই প্রোটিন করোনা জীবাণুর প্রোটিনের মত দেখতে, করোনা জীবাণুর বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধী ক্ষমতা তৈরি করছে তারা।
মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা মর্ডানা গত মার্চ মাস থেকেই ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু করেছে। ১৬ মার্চ তারা দাবি করে যে তাদের করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কার করার কাজ শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে মোট ৪৫ জন স্বেচ্ছাসেবককে ‘ভ্যাকসিন’র ডবল ডোজ দেওয়া হয়। সংস্থাটি দাবি করছে, প্রথম পর্যায়ের সেই ট্রায়াল সফল হয়েছে। এই ভ্যাকসিন দেয়ার পর স্বেচ্ছাসেবকদের করোনা প্রতিরোধের ক্ষমতা বেড়েছে।
সূত্র: ফরবেস।