পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ-
ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে এ্যাজমা, নিউমোনিয়া সমস্যা নিয়ে ৪ দিন আগে ভর্তি হওয়া এক রুগীর গতরাত ১২ টা থেকে শ্বাস কস্ট ও শারিরীক যন্ত্রনা বেড়ে যাওয়ার পরও চিকিৎসকের অভাবে কোন ট্রিনমেন্ট দেয়া হয়নি, অদ্য ৮ আগস্ট সকাল ৮.৩০ মিনিটের রুগীর আত্ত্বীয়রা নার্সের সাথে জোড় চাপঁ সৃষ্টি করলে জরুরী বিভাগে যোগাযোগ করতে বলে, জরুরী বিভাগ ছিল তখন সম্পুর্ন ফাকাঁ, পাশের একটি রুমে খোজ নিয়ে দেখা গেল একজন ঘুমিয়ে ছিল, তাকে ডেকে উঠানোর পর তিনি ডাক্তার শাকিলের সাথে যোগাযোগ করার জন্য ডাক্তারের মোবাইল নম্বর দেয়, সে নাম্বারে ফোন দিলে ডাক্তার বাবু দ্বিতীয় ধাপে ফোন রিসিভ করে অক্সিজেন দেয়ার পরামর্শ দেয়, পরবর্তীতে নার্সের কাছে বললে সে অক্সিজেন দেয়, ডাক্তার সাহেব ৯.৩০ মিনিটের সময় এসে রুগীকে রেগুলারের ন্যায় বরিশাল নেয়ার নির্দেশ দিয়ে কোন চিকিৎসা দেয় নি, তারপর শুরু হয় রুগীর আত্ত্বীয়দের এম্বুলেন্স খোজার ধাঁপ, ভাণ্ডারিয়া হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার মোজাম্মেল সাহেব কে ৫০ বার ফোন দেয়ার পর ফোন রিসিভ করে গাড়ী নাই বলে লাইনটা কেটে দেয়, বেসরকারি দু’টি এ্যাম্বুলেন্স ও গাড়ী নস্টের খবর জানতে পেরে রুগীর আত্ত্বীয়রা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পরে, পরবর্তীতে রুগীর অন্য একজন আত্ত্বীয় মারফত পাশের উপজেলা রাজাপুর থেকে একটি এম্বুলেন্স সংগ্রহ করে রুগীকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
ভাণ্ডারিয়ার রাজনৈতিক নেতাদের কাছে আমজনতার জিজ্ঞাসা আর কতদিন ভাণ্ডারিয়ার স্বাস্থ্যখাত এরকম থাকবে??
রাজনীতি করে কি লাভ যদি পাবলিকের মৌলিক অধিকার স্বাস্থ্যসেবা কিছুটা হলেও পুরন করতে না পারেন?
দয়াকরে আধুনিক ভাণ্ডারিয়ায় এরকম নাজুক স্বাস্থ্যসেবা রোধ করার জোড় দাবী জানিয়েছে ভাণ্ডারিয়ার আপামর জনসাধারন।