এটা সবাই জানে যে ধোনি কখনও মাঠ কিংবা মাঠের বাইরে নিজের আবেগ প্রকাশ করতেন না। প্রবল দুঃখও যেমন প্রকাশ করতেন না, আবার দারুণ আনন্দের দিনেও নিস্পৃহ থাকতেন। সফল হতে গেলে যে মানসিক প্রস্তুতি লাগে তা ধোনির শুরু থেকেই ছিল। আর ছিল লড়াই করার মানসিকতা।  অসম্ভব ঠাণ্ডা মাথার এই অধিনায়কের মাঝে কিন্তু তীব্র রসবোধ আছে। বিভিন্ন সময়ে মিডিয়ার প্রশ্নের জবাবে তার এই রসবোধের প্রমাণ পাওয়া গেছে। পাঠকদের জন্য রইল তেমনটি ১০টি উক্তি।

১. ২০১৪ সালে ধোনির দাড়িতে পাক ধরা শুরু হয়েছে। ক্যাপ্টেন্সির চাপেই দাড়ি পেকেছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ধোনি বলেছিলেন, ‘মনে হয় যেন মাথার উপর কেউ ১০০ কেজির বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে। এটা আমাকে ঝুঁকতে বাধ্য করার জন্য যথেষ্ট। তবে এর পর মাথার উপর পাহাড় চাপিয়ে দিলেও আর কোনো পার্থক্য হবে না।’

২. তখন সদ্য বিয়ে করেছেন ধোনি। বিয়ের পর কি ক্রিকেটার ধোনির জীবনে পরিবর্তন আসতে পারে! ধোনির উত্তর ছিল, ‘আমি আমার স্ত্রীকে বলেছি, তুমি আমার জীবনে তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ একজন। তোমার আগে আমার দেশ ও বাবা-মা।’

৩. অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডে পর পর হোয়াইটওয়াশ হয়ে ভারতীয় দল তখন সমালোচনার তীরে বিদ্ধ। কোন হার সবচেয়ে দুঃখজনক ছিল?- এমন প্রশ্নের জবাবে ধোনি বলেছিলেন, ‘যখন কেউ মারা যায়, সে শুধু মারাই যায়। এটা ভাবতে বসে না যে কীভাবে মরতে পারলে ভালো হতো।’

৪. বিশ্বের একমাত্র অধিনায়ক হিসেবে আইসিসির তিনটি সব থেকে জনপ্রিয় ট্রফি জয় করেছেন ধোনি। তার কাছে প্রশ্ন ছিল, আপনার আর কী চাই? ধোনির উত্তর ছিল, ‘একই জিনিস বারবার হলেও আমার কোনো সমস্যা নেই।’

৫. একবার তিনি সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, ‘আমি ভিড়ের জন্য খেলি না। খেলি দেশের জন্য।’

৬. সমালোচকদের উদ্দেশে একবার তীব্র আক্রমণ করে ধোনি বলেছিলেন, ‘আমার বাড়িতে তিনটি পোষা কুকুর আছে। আমি একের পর এক সিরিজ জিতি বা হারি, আমার প্রতি ওদের আচরণে কোনো পার্থক্য হয় না।’

৭. সিরিজ শেষ হয়নি, কিন্তু ভারতীয় দল সিরিজ হেরে গেছে। এমন সিরিজের বাকি ম্যাচগুলির মূল্য কী? ধোনি জবাব দিয়েছিলেন, ‘যতক্ষণ না ফুল স্টপ আসে, ততক্ষণ পর্যন্ত একটা বাক্য শেষ হয় না।’

৮. ক্রিকেটারদের ফিটনেস প্রসঙ্গে ধোনি বলেছিলেন, ‘একজন ক্রিকেটার ১০০ শতাংশ ফিট না হয়ে খেলতে নামলে সে নিজেকে এবং দলকে ঠকায়।’

৯. সিরিজের মাঝে ধোনির স্ত্রী সাক্ষী জন্ম দেন তাদের একমাত্র কন্যা জিভার। তখন এক প্রশ্নের জবাবে ধোনি বলেছিলেন, ‘আমি এখন দেশের কাজে ব্যস্ত। বাকি সব কিছু অপেক্ষা করতে পারে।’

১০. ধোনির মাঝে তীব্র দেশপ্রেম ছিল। আরও ছিল দেশকে সেবা করার ইচ্ছা। তিনি একবার বলেছিলেন, ‘আমি ক্রিকেট বেছে নিয়েছি কারণ খেলতে পারতাম। অবসরের পর ভারতীয় সেনাবাহিনীতে সেবা প্রদান করব। আমি সব সময় দেশ সেবা করতে চাই।’ কথা রেখেছিলেন ধোনি। গত বিশ্বকাপ খেলে ফেরার পর তিনি সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।