ক্রিকেটবিশ্বে অনেক খ্যাতনামা বল প্রস্তুতকারক কম্পানি আছে। এদের বলের সেলাই ভিন্নরকম; গড়নেও ভিন্নতা আছে। যেমন কোকাবুরা, এসজি কিংবা ডিউক বলের মাঝে ভিন্নতা আছে। এসব বলের সঙ্গে প্রতিবার বোলারদের মানিয়ে নিতে হয়। বাংলাদেশ যেমন কখনো কোকাবুরা আবার কখনো এসজি দিয়ে খেলে। ইংল্যান্ডে ডিউক বল, অস্ট্রেলিয়ায় চলে কোকাবুরা। পাকিস্তানের বোলিং কোচ ও পেস কিংবদন্তি ওয়াকার ইউনিসের চাওয়া, কোনো একটি ব্র্যান্ডের বল সব দেশের জন্য সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া উচিত।
এক কলামে ওয়াকার লিখেছেন, ‘আমি অনেক বছর ধরেই ডিউক বলের বড় সমর্থক, তবে আমি মনে করি, এক ব্র্যান্ডের বল দিয়েই সব দেশে টেস্ট ম্যাচ হওয়া উচিত। যে ব্র্যান্ডের বলই হোক, আইসিসির উচিত সিদ্ধান্তটি নেওয়া। একেক দেশে গেলে একেক ধরনের বল দিয়ে খেলতে হয়, বোলারদের জন্য মানিয়ে নেওয়া খুব কঠিন।’
আধুনিক ক্রিকেট এমনিতেই ব্যাটসম্যান বান্ধব; তার ওপর করোনার কারণে বলে থুতু লাগাতে পারছেন না পেসাররা। এতে সুইং এবং কারিকুরি দেখানো কঠিন হয়ে পড়েছে। ওয়াকার বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক টেস্ট সিরিজে দুই দলের জন্যই একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল লালার ব্যবহার নিষিদ্ধ হওয়া। তবে ইংল্যান্ডে আবহাওয়ার কারণে সেটি খুব বড় সমস্যা হয়ে ওঠেনি। পিচ শুষ্ক থাকলেও বাতাসে আর্দ্রতা ছিল এবং মাঠও ছিল সজীব। কিন্তু অন্য সব জায়গায় বল ভালো অবস্থায় রাখা কঠিন চ্যালেঞ্জ।’