মোঃ আব্দুল হান্নান ক্রাইম রিপোর্টার সিলেট
হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার ১ নম্বর গাজীপুর ইউনিয়নের টেকারঘাট গ্রামে দু’দল চোরাকারবারীর সংঘর্ষে ইয়াকুত মিয়া(৪৫) নামের এক চোরাকারবারী নিহত হয়েছে।
রমজান আলী ( ৪৮) নামের ১চোরাকারবারী আহত হয়েছে ।
৫ আগস্ট শনিবার রাত প্রায় ১০ টায় গাজীপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গ্রাম টেকেরঘাটে ঘটনাটি ঘটেছে। নিহতের বাবা আঃ খালেক জানান, ইয়াকুতের বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেফতারী পরোয়ানা থাকায় ইয়াকুত গভীর রাত অবদি বাড়ির বাহিরে হাটা চলা করতো । চোরাকারবারি রমজান আলী বিজিবির সোর্স ভাবতে থাকে চোরাকারবারি চক্র ইতিমধ্যে বিজিবি অনেকগুলো চোরাচালান আটক করলে রমজান আলীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর প্রতিশোধ নিতে পরিকল্পিতভাবে তার ছেলেকে হত্যা করে তারা। আহত রমজান আলীর পরিবার পক্ষ থেকে জানা যায়, রমজান আলির ছোট ভাই ও ইয়াকুত মিয়ার ছোট ভাইর মধ্যে সৃষ্ট ঝামেলা মিট করতেই এ হতাহতের ঘটনা ঘটে
প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানান, ওই রাতে তারা ঘটনাস্থলে রাস্তার পাশে আবাদি জমিতে রক্তাক্ত অবচেতন অবস্থায় ইয়াকুত মিয়াকে দেখতে পান। তখন দা ও ফিকল হাতে জমশের আলীর দুই পুত্র রমজান আলী (৪৮) দরবেশ আলী (৩৫) খালেকের পুত্র জমরুত মিয়া ( ৪০) জমরুত মিয়ার পুত্র নাইম (২০) দেশিয় অস্ত্র হাতে ঘটনাস্থলেই ছিল। সুত্র জানান, রমজান এবং ইয়াকুত ভারতে চুরি করতো। সাম্প্রতিক সময়ে এরা চুরি ছেড়ে দিয়ে চোরাচালানীতে যোগ দেয়। এরা স্থানীয় আসামপাড়া বাজার থেকে মটরসুটি, ছোলা, ছানার ডাল ও ইলিশ মাছ কিনে ভারতের ত্রিপুরাতে পাচার করতো।
বিষয়ে বিজিবি বাল্লা কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আইয়ুব আলী বলেন, বিজিবি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ইয়াকুত বিজিবির সোর্স ছিল না। প্রাথমিক ভাবে ঘটনার সাথে জড়িত যাদের নাম এসেছে তাদের অধিকাংশই তালিকা ভুক্ত চোরাকারবারী।
এ বিষয়ে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ নাজমুলহক জানান, ঘটনার রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লাশ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে সুরতাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মহিলা সহ তিন জনকে থানায় নেওয়া হয়েছে । এ ব্যাপারে নিহতের পক্ষ থেকে লিখিত কোনো অভিযোগ হয়নি। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।