সাউদাম্পটনে সিরিজের প্রথম ম্যাচে শেষ ওভার থ্রিলারে ২ রানে জয় আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে।সেই জয় থেকে টনিক নিয়ে একই ভেন্যুতে অস্ট্রেলিয়াকে হতভম্ব করেছে মরগানের দল।

ফর্মের তুঙ্গে থাকা বাটলার (৭৭*),মালানের (৪২) ব্যাটিংয়ে ১৫৮ রান চেজ করে ৭ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জিতে ১ ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজের ট্রফি নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এটা ইংল্যান্ডের ৪র্থ টি-২০ সিরিজ জয়। টানা দ্বিতীয় দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ জিতলো ইংল্যান্ড।

সাউদাম্পটনের উইকেট একটু শ্লো, তা টের পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া প্রথম ম্যাচে। সে কারণেই টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ফিঞ্চ। তবে যে লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিংকে বেছে নিয়েছে, সেই লক্ষ্য পূরনে বাধ সেধেছে ইংল্যান্ডের নিয়ন্ত্রিত বোলিং। থেমেছে তারা ১৫৭/৭-এ। 

ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-তেই ( ৬ ওভারে ৩৯/৩) অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাকফুটে নামিয়ে এনেছে ইংল্যান্ড। ইনিংসের তৃতীয় বলে ওয়ার্নারকে (০) আরচ্যার ফিরিয়ে দিলে ধাক্কা খায় অস্ট্রেলিয়া। পরের ওভারে ক্যারেকে (২) উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন জর্ডান।ব্যাটিং পাওয়ার প্লে’র মধ্যে মরগানের ডাইরেক্ট থ্রোতে স্মিথ রান আউট (১০) হলে বড় শংকা দেখা দেয় অস্ট্রেলিয়ার।

এখানেই ইংল্যান্ড গেছে এগিয়ে। ব্যাটিং পাওয়ার প্লে তে ৪৪/১ স্কোর, বাটলার-মালানের ৬১ বলে ৮৭ রান ইংল্যান্ডকে সহজ জয়ের পথ সুগম করেছে।৭০তম টি-২০ ম্যাচে ৮ম ফিফটি উদযাপন করেছেন বাটলার ৩৮ বলে। সেখান থেকে ফিনিশার হয়েই ফিরেছেন জয় নিয়ে  (৫৪ বলে ৮ চার ২ ছক্কায় ৭৭ নট আউট)। বাঁ হাতি স্পিনার অ্যাস্টন আগারের বলের সুইপ করতে যেয়ে ক্যাচ দিয়ে টানা ফিফটি হাতছাড়া করেছেন ডেভিড মালান (৩২ বলে ৭ চার এ ৪২)।

বাকি কাজটা সেরেছেন মঈন আলী (১৩ নট আউট)। পর পর ২ ম্যাচে অজি লেগ স্পিনার জাম্পা খেয়েছেন মার। রবিরার মরগানের উইকেটের বিপরীতে খরচা তার ৪২। আগার (২/২৭) এবং স্টার্ক (১/২৫) ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার কারো বোলিং হয়নি প্রত্যাশিত। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে  ৪র্থ উইকেট জুটিতে  ফিঞ্চ-স্টয়নিচ ৪২ বলে ৪৯ রান ছাড়া বলার মতো কোন পার্টনারশিপ হয়নি। 

জর্ডানের শর্ট পিচ ডেলিভারি চপ করতে যেয়ে ফিঞ্চ প্লেড অন ( ৩৩ বলে ৪ চার,২ ছক্কায় ৪০) এবং লেগ স্পিনার আদিল রশিদের বলে স্টয়নিচ স্লিপে ক্যাচ (২৬ বলে ২ চার,২ ছক্কায় ৩৫) দিলে বড় স্কোরের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। তবে শ্লগের ৩০ বলে ৫৭ রানে দেড়শ’ পেরুতে পেরেছে অস্ট্রেলিয়া।

ম্যাক্সওয়েল (২৫),অ্যাস্টন আগার (২৩) এবং টেল এন্ডার প্যাট কামিন্স (৫ বলে ১৩) এর কল্যানে অস্ট্রেলিয়া ইনিংস টেনে নিয়ে যায় ১৫৭ পর্যন্ত। এই ম্যাচেও দারুন বোলিং করেছেন উড (১/২৫),আদিল রশিদ (১/২৫),আরচ্যার (১/২৯)। ১২,১১ ও ১৩টি ডট ডেলিভারী দিয়েছেন তারা। জর্ডান ২ উইকেটে খরচা করেছেন সেখানে ৪০ রান।