নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিতাস গ্যাসের ৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে মসজিদে বিস্ফোরণজনিত দুর্ঘটনা সংগঠিত হওয়ার অভিযোগে এই ৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

আজ সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) তাদের বরখাস্তের সঙ্গে সঙ্গে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়। তিতাসের এমডি আলী মো. আল মামুন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বরখাস্তকৃতরা হলেন- তিতাস ফতুল্লা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, উপব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান রাব্বী, সহকারী প্রকৌশলী এস এম হাসান শাহরিয়ার, সহকারী প্রকৌশলী মানিক মিয়া, সিনিয়র সুপারভাইজার মো. মনিবুর রহমান চৌধুরী, সিনিয়র উন্নয়নকারী মো. আইউব আলী, সাহায্যকারী মো. হানিফ মিয়া এবং কর্মী মো. ইসমাইল প্রধান।

দুর্ঘটনার পরদিন সকালে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছিলেন তিতাসের এমডি আলী মো. আল মামুন। মুসল্লিদের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি সেদিন বলেছিলেন, মসজিদে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় তিতাসের কোনো গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুসল্লিদের অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে দোষী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, পশ্চিম তল্লার ওই মসজিদে শুক্রবার এশার নামাজের সময় বিকট বিস্ফোরণ ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সে সময় মসজিদে থাকা অর্ধশতাধিক মানুষের সবাই কমবেশি দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে মসজিদের ইমাম আব্দুল মালেকসহ ২৭ জন ইতোমধ্যে মারা গেছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন আরো ১০ জন।