নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধে করা একটি মামলায় আদালত ওই জমিতে স্থিতাবস্থা জারি করলেও তা মানছে না বিবাদী পক্ষ। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জমিতে পাকা স্থাপনা তৈরি করছে তারা। এমনই অভিযোগ মামলার বাদী পক্ষের।
বাদীপক্ষ বলছে রূপগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে বার বার গিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না তারা। এমনকি জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯- এ ফোন করেও পুলিশের সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে না৷ এমন অবস্থায় উভয়পক্ষের মধ্যে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আদালতের নথি ও মামলার বাদী পক্ষ থেকে জানা যায়, রূপগঞ্জের ইছাপুরা এলাকার আমাতুল্লা ভূঁইয়া ওই এলাকার পরশী মৌজায় ১২৭৬ ও ১৩৫৮ দাগে ২০০৯ সালে ২২ শতাংশ জমি কেনেন। তারপর থেকে জমিটিতে তিনি ফলের বাগান করে ভোগ দখল করছিলেন। সম্প্রতি ওই এলাকার বিএনপি নেতা মাসুদ রানা জোর করে জমিটি দখলে নিয়ে পাকা স্থাপনা তৈরি শুরু করেন। এর প্রেক্ষিতে জমির মালিক আমাতুল্লা ভূঁইয়া নারায়ণগঞ্জ জেলা দায়রা জজ আলাদতে একটি মামলা করেন। মামলায় আদালত পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত জমিটিতে সকল প্রকার স্থাপনা নির্মাণে স্থিতাবস্থা জারি করেন।
জমির মালিক আমাতুল্লা ভূঁইয়া বলেন, ‘ মঙ্গলবার থেকে আদালত বন্ধ। এই সুযোগে দখলদাররা আবারো বাড়ির নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। আমরা আদালতের রায় নিয়ে গত রোববার থেকে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে একাধিকবার গিয়েছি। লিখিত আবেদনের মাধ্যমে স্থিতাবস্থা জারি এবং আলাদতের নির্দেশ অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণের বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি। উল্টো তিনি বলছেন স্থানীয় সংসদ সদস্যের পিএস এমদাদুল হক দখলদারের পক্ষ নিয়েছেন। সেকারনে পুলিশ কোন কিছু করতে পারবে না। এছাড়াও মঙ্গলবার সকাল থেকে অন্তত ৬ বার জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশের সহায়তা চেয়েছি। পুলিশ বারবার ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা আদালতে গিয়েও পুলিশের অসহযোগীতার কারনে কোন প্রতিকার পাচ্ছি না। অপরদিকে দখলদাররা পুলিশের যোগসাজশে আদালতের নির্দেশ অমান্য করছে।’
এদিকে মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ওই জমিতে একটি পাকা ভবনের ছাদ ঢালাই করছেন শ্রমিকরা। লোকজন ও লাঠিসোটাসহ সেখানে অবস্থান নিয়েছেন দখলদার মাসুদ রানার লোকজন। অপরদিকে জমির মালিক তার স্বজনদের নিয়ে কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে৷ এছাড়া বিষয়টি নিয়ে কেউ কথা বললে তাদের স্থাণীয় একজন সাংবাদিকসহ কয়েকজন নানা ধরণের ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করছেন
তবে এমদাদুল হক অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘ আমি তাদের চিনি না। এমন অভিযোগ মিথ্যা।’
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, ‘ আমরা এমন কোন আদালতের নির্দেশ পাইনি৷ তাই ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না।