বুড়িচং প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা বুড়িচংয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে সাংবাদিক ও গীতিকবি আক্কাস আল মাহমুদ হৃদয়কে প্রাণনাশের হুমকি ও চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতা সালাউদ্দিন ও তার গংদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনার একটি অডিও রের্কড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক আক্কাস আল মাহমুদ হৃদয়ের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বুড়িচং থানায় একটি জিডি করেছেন।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক দৈনিক বিজয় পত্রিকার কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি,দৈনিক মানবকণ্ঠ ও দ্যা ডেইলি ট্রাইবুন্যাল পত্রিকা ও বিডি২৪লাইভ এর বুড়িচং উপজেলা প্রতিনিধি, তালাশ বাংলার সম্পাদক।
এছাড়াও তিনি বুড়িচং প্রেস ক্লাবের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার বুড়িচং উপজেলার সাধারণ সম্পাদক,বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া শাখার সাধারণ সম্পাদক।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,গত বুড়িচং উপজেলার বিভিন্ন গরু বাজারে অতিরিক্ত হাসিল রাখার অভিযোগ ক্রেতাদের। এমন সংবাদের জেরে গত( ২৮ জুন ২০২৩) বুধবার সাংবাদিক আক্কাস আল মাহমুদ হৃদয়ের বাকশীমূল নিজ বাড়িতে গিয়ে ঘরে প্রবেশ করে ৮০ হাজার চাঁদা দাবী করে ওই সন্ত্রাসী দল। তখন তাদেরকে চাঁদা টাকা দিতে অপারগতা জানালে সাংবাদিকের গায়ে হাত তুলে এবং মা-বাবা, স্ত্রীর সামনে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে।
সন্ত্রাসীরা হলেন কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বাকশীমূল গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে সালাউদ্দিন, মোঃ ছাদেকের ছেলে আবু কাউছার,আঃ ছামাদের ছেলে মোঃ রমজান।সন্ত্রাসী সালাউদ্দিন উপজেলা ছাত্রলীগ সংগঠনের সাথে জড়িত থেকে বিভিন্ন অপরাধ করে যাচ্ছে। কাউছার ছেলেটা বিজিবি চাকরি করার সময় অবৈধ কর্মে ধরা খেয়ে তার চাকরি চলে যায়। তাদের উচ্ছৃঙ্খলা দেখে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। সালাউদ্দিন সাংবাদিককে হুমকি প্রদানের সময় বলেন,আমার গরু বাজারের লসের ৮০ হাজার টাকা তুই দিতে হবে, “আমি সালাউদ্দিন, আমি ছাত্রলীগ করি টাকা না দিলে তোর খবর আছে,তোকে বাঁচতে দিতাম না”।
এ ব্যাপরে ভুক্তভোগী সাংবাদিক আক্কাস আল মাহমুদ হৃদয় প্রতিনিধিকে বলেন,গত ২৭ তারিখ মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে অতিরিক্ত হাসিল রাখার অভিযোগ পেয়ে একটি সংবাদ প্রচার করি।উক্ত সংবাদে কারো নাম বা কোনো নিদিষ্ট বাজারের নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবুও তারা এ সংবাদের জেরে বাড়িতে জোরপূর্বক এসে ঘরে ঢুকে আমার কাছে চাঁদা দাবি করেন এবং চাঁদা দিতে রাজি না হলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেছে।এখন আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতা ভুগছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সালাউদ্দিন বলেন, এ ব্যাপারে তাকে একাধিক বার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।
বুড়িচং থানার ওসি মোঃ ঈসমাইল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় বুড়িচং থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছে সাংবাদিক হৃদয়। আদালত খুললে আমরা জিডি কপি আদালতে প্রেরণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।