নারায়ণগঞ্জের মসজিদে আগুনের ঘটনা বিপুল পরিমাণে গ্যাস জমে থাকার কারণেই ঘটেছে বলে দাবি করা হয়েছে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনটি আজ বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জমা দেওয়ার কথা বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবেদনে বিস্ফোরণের কারণ হিসেবে মসজিদের গ্যাস জমাট বেঁধে থাকা উল্লেখ করা হয়েছে। গ্যাসের আগুন থেকেই পরবর্তীসময়ে এসির বিস্ফোরণ হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মসজিদ ভবনটি তৈরিতে বিল্ডিং কোড মানা হয়নি।
তিতাসের বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্যাস লিকেজের বিষয়ে তিতাস কর্তৃপক্ষের কাছে এলাকাবাসী বা মসজিদ কমিটি অবগত বা অভিযোগ করেছে লিখিত কোনো দলিল পাওয়া যায়নি। তবে অনেকে কমিটির কাছে বলেছে যে তিতাসকে মৌখিকভাবে গ্যাস লিকেজের বিষয়ে অবগত করা হয়েছিল।
গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এশার নামাজ পড়ার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। শতাধিক মুসল্লি নামাজ আদায় করতে এসেছিলেন। ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনার সময় তাঁদের অনেকেই মসজিদে ছিলেন। মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনসহ গুরুতর অগ্নিদগ্ধ ৩৭ জনকে জরুরি ভিত্তিতে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৩১ জন মারা গেছেন। বাকিদের অবস্থা নিয়েও রয়েছে শঙ্কা।