খুলনার পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন মাহেন্দ্রচালক ডুমুরিয়া উপজেলা সদরের আরাজি সাজিয়াড়া গ্রামের মৃত নেছার আলী বিশ্বাসের ছেলে আমিনুল ইসলাম (৫৫), সাহস গ্রামের আব্দুল খাদেম শেখের ছেলে মিজানুর রহমান (৫৫), যশোরের কেশবপুর উপজেলার খোর্দ গ্রামের নওশের আলী দফাদারের ছেলে ও আরএফএল কম্পানির নরসিংদী জেলার মার্কেটিং অফিসার হাবিবুর রহমান (৪০) এবং ডুমুরিয়া উপজেলার কোমলপুর গ্রামের নাজির মোল্লার স্ত্রী হালিমা বেগম (৫৫)। আহতরা খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আজ বৃহস্পতিবার খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের ডুমুরিয়ার সদর ও গুটুদিয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ডুমুরিয়া থানর ওসি আমিনুর ইসলাম জানান, সকাল ১০টার দিকে খুলনা সাতক্ষীরা মহাসড়কের ডুমুরিয়া সদর এলাকার সরকারি মহিলা কলেজের সামনে একটি বাস সাতক্ষীরা থেকে খুলনার পথে আসছিল। এ সময় মহাসড়কে উঠতে যাওয়া একটি মাহেন্দ্র বাসের সামনে পড়লে সংঘর্ষ হয়। এতে মাহেন্দ্রচালক সাজিয়ারা গ্রামের আমিনুল ইসলাম (৫৫), সাহস গ্রামের মিজানুর রহমান শেখ (৬৬) ও হাবিবুর রহমান মারা যান। এই ঘটনায় আহত ডুমুরিয়ার মিকসিমিল গ্রামের হাবিবুর রহমান, তার স্ত্রী সুমি আক্তার, জিয়ালতলা গ্রামের পলি রায় ও দাকোপ উপজেলার বাসন্তী রানী খুলনা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন আছেন।
অপরদিকে দুপুরে সোয়া ১টার দিকে একই সড়কের গুটুদিয়া নামক স্থানে একটি কাভার্ড ভ্যানকে সাতক্ষীরাগামী একটি বাস (নারায়ণগঞ্জ জ-০৪-০০০৫) ওভারটেক করতে গেলে পার্শ্ববর্তী একটি ভ্যানে আঘাত করে। এতে ভ্যানের যাত্রী বৃদ্ধা হালিমা বেগম ঘটনাস্থলে মারা যান। এ সময় তার ছেলে শরফিুল ইসলাম আহত হন।
হাইওয়ে পুলিশ খর্ণিয়ার সার্জেন্ট মো. মোশাররফ হোসেন জানান, লাশ খুলনা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত ব্যক্তিকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
খুলনা মেডিক্যাল কলেজের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফরহাদ হোসেন জানান, প্রথম ঘটনায় আমিনুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান হাসপাতালে আনার পথেই মারা যান। আর হাবিবুর রহমান আহত হয়ে এসে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আহতদের সার্জারি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।