ঢাকা-৫ আসনে উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকেই অনেক কেন্দ্র ফাঁকা পড়ে থাকার খবর পাওয়া যাচ্ছিল। কোনো কোনো কেন্দ্রে শুরুর ঘণ্টাখানেক পরও এক-দুই শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানা যায়। দুপুর সাড়ে ১২টায় খবর আসে তখন পর্যন্ত কদমতলী থানার ধনিয়ায় অবস্থিত বর্ণমালা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের এক বুথে এক ভোটও পড়েনি।

অধিকাংশ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভোটারের উপস্থিতি একেবারেই কম। কেন্দ্রগুলোতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর নেতাকর্মীদের উপস্থিতি থাকলেও ভোটার সংখ্যা হাতেগোনা দু-চারজন। মেট্রোপলিটন ক্রিয়েটিভ স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এক ঘণ্টায় ২৪০০ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে মাত্র ৩৫টি। ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মো. জসিমউদ্দিন বলেন, মেট্রোপলিটন ক্রিয়েটিভ স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে মোট ভোটার ২৪০০। এরমধ্যে এক ঘণ্টায় ভোট পড়েছে মাত্র ৩৫টি। 

ডগাইর দারুচ্ছুন্নাত ফাযিল মাদ্রাসার প্রিসাইডিং অফিসার মো. মহসিন মোল্লা জানান, তাঁর ১৪৮ নম্বর কেন্দ্রে মোট ভোটার ২৬২৫ জন। সকাল ১০টা পর্যন্ত এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৪৫টি। ভোটার সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা গত ৬ মে মারা যাওয়ায় ঢাকা-৫ আসনটি শূন্য হয়। এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ছয় প্রার্থী। এঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মো. কাজী মনিরুল ইসলাম, বিএনপির সালাহ্ উদ্দিন আহম্মেদ, জাতীয় পার্টির মীর আব্দুর সবুর, গণফ্রন্টের এইচ এম ইব্রাহিম ভূঁইয়া, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. আনছার রহমান শিকদার ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. আরিফুর রহমান।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের চারটি থানা নিয়ে এই আসনটি গঠিত। এগুলো হলো মতিঝিল (আংশিক), যাত্রাবাড়ি, ডেমরা ও কদমতলী (আংশিক)। আসনটিতে ১৪টি ওয়ার্ডে মোট ১৮৭টি কেন্দ্রের ৮৬৪টি কক্ষে এক হাজার ৯৫টি বুথে ভোটগ্রহণ চলছে। এখানে মোট ভোটার রয়েছেন চার  লাখ ৭১ হাজার ১২৯ জন। যাঁদের মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ৪১ হাজার ৪৬৪ জন ও নারী দুই লাখ ২৯ হাজার ৬৬৫ জন।