ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর চেষ্টা আর বিএনপির পক্ষ থেকে কেন্দ্র দখল ও বিনাভোটে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর জিতে আসার আশঙ্কার মধ্যেই চলছে ঢাকা -৫ আসনে উপ-নির্বাচন।

আজ শনিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টায় এ আসনে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। চলবে টানা বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন ১৪টি ওয়ার্ড এবং ডেমরা, যাত্রাবাড়ী এবং কদমতলী থানার কিছু অংশ নিয়ে এই আসন বিস্তৃত। এসব এলাকার ১৮৭টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। 

জানা গেছে, ভোটগ্রহণ শুরু হলেও কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি এখনো তেমন দৃশ্যমান নয়। কোনো কোনো কেন্দ্রে সকাল ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত একজন ভোটারকেও ভোট দিতে দেখা যায়নি।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা গত ৬ মে মারা যাওয়ায় শূন্য হয় আসনটি। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৪টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এই আসনের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ছয়জন প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন আওয়ামী লীগের মো. কাজী মনিরুল ইসলাম মনু ও বিএনপির সালাহ্ উদ্দিন আহম্মেদ। বিরোধী দল জাতীয় পার্টির প্রার্থী মীর আব্দুর সবুর।

কাজী মনিরুল ইসলাম মনুর নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত নেতারা কালের কণ্ঠকে বলেন, শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের জন্য দলের কেন্দ্রভিত্তিক কমিটিগুলো তৎপর। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের ভোটারদেরই শুধু কেন্দ্রভিত্তিক কমিটিতে রাখা হয়েছে। তাঁরা ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে আসায় তৎপর।

৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে নৌকার প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা গোলাম সারোয়ার কবীর কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিগত কয়েক দিন আমরা নৌকার পক্ষে ভোট চাইতে বাড়ি বাড়ি গিয়েছি। মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া দিয়েছে। ঢাকা-৫ আসনের প্রতিটি এলাকায় নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য হলো সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ যেন সম্পন্ন হয় সে জন্য সহযোগিতা করা।’

অন্যদিকে বিএনপিও শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতোই এই উপনির্বাচনেও ভোটের আগের দিন রাতে ভোট জালিয়াতি, দলীয় এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে নির্বাচনেরফল বদলে দেওয়ার ঘোর আশঙ্কা করছেন দলটির নেতারা। তাঁরা বলছেন, গত ২৬ সেপ্টেম্বর পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচন ও ঘোষিত ফলই বলে দেয় কীভাবে বিনা ভোটে ক্ষমতাসীনরা জোর করে জয়ী হচ্ছে।