মোঃ আব্দুল হান্নান, ক্রাইম রিপোর্টার, সিলেট

বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক ঘোষিত ঐতিহাসিক ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শিক্ষক সমাবেশ করেন হবিগঞ্জ জেলা সমিতির শিক্ষক নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন সমিতির নেতৃবৃন্দরা।

রবিবার ১ নভেম্বর-২০২০ হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে এ স্মারকলিপি পেশ করেন শিক্ষক নেতৃবৃন্দরা ।

জেলা সভাপতি হাসিনা বেগম ও সম্পাদক এ বি এম আব্দুল বাছিত সেলিম নেতৃত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি শামীম আহমেদ চৌধুরী, তথ্য ও প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, সমবায় সম্পাদক ফখরুল ইসলাম বদরুল, মোহাম্মদ মতিউর রহমান, শাহানা আক্তার চৌধুরী, সীমা দাশ, মমতাজ বেগম, হোসনে আরা জেসমিন, সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, আবু তাহের, আবুল কাসেম, ইউনুছ আকমাল, বিপুল চন্দ্র দাস, আব্দুল আউয়াল, আব্দুল মজিদ, ছুরুক মিয়া, নজরুল ইসলাম, তপন পাল, বিধান কৃষ্ণ দাস, রুবেল মিয়া, অশেষ দাস, গীেতন্দ্র কুমার দাস, লিটন দেবনাত, ইন্দ্রজিৎ দাস, সুব্রত দাস, প্রভাত ভূষণ রায়, গৌরাঙ্গ দাস, আব্দুল গিণ, মিহির কান্তি দাস, বকুল চন্দ্র দাস, ফারুক মোল্লা, সোলেমান মিয়া, হারুনুর রশীদ মহালদার, ইসমত আরা বেগম, তৌহিদা সুলতানা, ইসমত আরা বেলি, পীনাক্ষী ভট্রাচার্য্য, কামরুন্নাহার, রফিকুল ইসলাম, আব্দুল মোমিন, মিলাদ হুসেন ভূঁইয়া, কামাল উদ্দিন, আতাউর রহমানসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত প্রায় ২০০ জন শিক্ষক।

দাবি সমূহঃ-
১. সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পদোন্নতি প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের টাইমস্কেল প্রদানসহ অন্যান্য প্রধান শিক্ষকদের ০৯/০৩/২০১৪ থেকে ১৪/১২/২০১৫ পর্যন্ত সময়ের প্রাপ্য টাইমস্কেল প্রদানের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত ১৫/১০/২০ তারিখের ১৪১ নম্বর পত্রটি জরুরি ভিত্তিতে প্রত্যাহার করে টাইমস্কেল প্রদানের ব্যবস্থা করা।

২. (ক) বর্তমানে প্রধান শিক্ষকদের যোগ্যতা ও দায়িত্বের কথা বিবেচনা করে বেতনস্কেল ৮ম গ্রেডে উন্নীত করা
(খ) সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ সৃষ্টিসহ ৯ম গ্রেডে বেতনস্কেল নির্ধারণ করা
(গ) স্নাতক/স্নাতকোত্তর শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রেক্ষিতে সঙ্গত কারণেই সহকারী শিক্ষকদের বেতনস্কেল বর্তমান বেতনস্কেলের ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা।

৩. চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের দ্রুত পদোন্নতির ব্যবস্থা করা।

৪. সমন্বিত নিয়োগ বিধিতে শুধুমাত্র সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রদান করে ওই পদ থেকে প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসনের সর্বোচ্চপদ পর্যন্ত শর্তহীনভাবে পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করা।

৫. প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কীয় বিভাগীয় নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সাংগঠনিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা।

৬. সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের অবিলম্বে নন-ভেকেশনাল কর্মচারী হিসেবে ঘোষণা করে অন্যান্য সরকারি কর্মচারীদের ন্যায় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা।

৭. অবিলম্বে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা কার্যকর করা।

৮. অন্যান্য সরকারি কর্মচারীদের ন্যায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক দু’দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করা ও দিনে সর্বোচ্চ চারটি পিরিয়ড পাঠদানের ব্যবস্থা করা।

৯. সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধিদের নিয়ে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্টি বোর্ডের কার্যক্রম আরো গতিশীল করা।

১০. শিক্ষকদের বিভিন্ন বিভাগীয় প্রশিক্ষণে শুধুমাত্র শিক্ষকদের মধ্য থেকে প্রশিক্ষক নির্বাচন, শিক্ষকদের বিনোদন ভাতার জটিলতা নিরসন ও প্রশিক্ষণের পর উচ্চধাপে বেতন নির্ধারণ করা।

শিক্ষক সমাবেশে বক্তারা অনতিবিলম্বে সকল দাবী সমূহ মেনে নেয়ার জোর দাবী জানান।