ফারহানা রহমান:
বরগুনার বামনা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মৃত হযরত আলীর বাড়ির সামনে দিয়ে ০১/১১/২০২০ইং বেলা ১১ টার দিকে বাবা মেয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় প্রকৃতির ডাকে হাফিজার বাবা রাস্তার পাশে বসলে রাস্তার উপরে হাফিজা কে একা দেখতে পেয়ে লতিফ শিকদারের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য আইয়ুব আলি রাস্তার মধ্যে হাফিজাকে জাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে, হাফিজার চিৎকারে হাফিজার বাবা মান্নান হাওলাদার এগিয়ে আসলে বাবুল ও ওহাব আলি ওরফে(ছোট্ট) নামে আরও দুই সন্ত্রাসী মান্নান হাওলাদারকে মারধর করে গুরুতর আহত করে তিনজন মিলে ১৩ বছরের শিশু হাফিজাকে ধর্ষণের চেষ্ট করে, ধর্ষণে বাধা দেয়ায় শিশু মেয়ে হাফিজা ও তার বাবাকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে সন্ত্রাসীরা।
আহত মন্নান হাওলাদার ও তার মেয়ে হাফিজার চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে অপরাধীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়, এলাকাবাসী শিশুকন্যা হাফিজা ও হাফিজার পিতা মান্নান হাওলাদার কে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধারকরে বামনা উপজেলা সাস্হ কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় হাফিজার বাবা মান্নান হাওলাদার এর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গডফাদার লতিফ শিকদারের সন্ত্রাসী বাহিনীর আতঙ্কে দীর্ঘদিন যাবত এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় জীবনযাপন করছে, সাম্প্রতিককালে লতিফ শিকদারকে প্রশাসন গ্রেপ্তার করলেও কোন এক অশুভ হাতের ইশারায় লতিফ শিকদার পুনরায় এলাকায় ফিরে আসে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী বলেন লতিফ শিকদার গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আগের তুলনায় ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, লতিফ সিকদার সুবিধাবাদী দলের সদস্য বলে এলাকাবাসী জানায়, লতিফ শিকদারের সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলা তো দূরের কথা লতিফ শিকদারের নাম নিতে অপারগতা জানায় এলাকাবাসী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উক্ত গ্রামের একাধিক ব্যক্তি সংবাদকর্মীদের বলেন আমাদের ছবি তুলবেন না তাহলে আমাদের এলাকায় থাকা সম্ভব হবে না,এলাকাবাসীর দাবি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাস মুক্ত একটি বাংলাদেশ দেশবাসীকে উপহার দেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করার পরেও এসকল সন্ত্রাসীরা কিভাবে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে তা বোধগম্য নয় তাই এলাকাবাসীর একটাই আশা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এসকল সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বামনা এলাকাকে অচিরেই মুক্ত করবে।