ছবি: মোরাতার গোলের পর উল্লাসে মেতেছেন জুভেন্টাসের খেলোয়াড়েরা।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ফেরেন্সভারোসকে হারিয়েছে জুভেন্টাস। বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট ও হাস্যকর ভুলের পরও আলভারো মোরাতার জোড়া গোলে বড় জয় পেয়েছে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা।

প্রতিপক্ষের মাঠে বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচটি ৪-১ গোলে জিতেছে জুভেন্টাস। মোরাতার জোড়া গোলের পর বদলি নামার খানিক পরেই ব্যবধান বাড়ান পাওলো দিবালা। অন্য গোলটি আত্মঘাতী। স্বাগতিকদের একমাত্র গোলদাতা ফ্রাঙ্ক বোলি।

ম্যাচের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের রক্ষণে চাপ বাড়ানো জুভেন্টাস সপ্তম মিনিটে দারুণ এক আক্রমণে এগিয়ে যায়। ডান দিক থেকে আক্রমণে ওঠা হুয়ান কুয়াদরাদোর ছয় গজ বক্সে বাড়ানো পাস দারুন দক্ষতায় ছেড়ে দেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। পেছনে ছুটে আসা মোরাতা অনায়াসে টোকা দিয়ে বল জালে পাঠান।

২৩তম মিনিটে স্বাগতিকদের রক্ষণে ভীতি ছড়ান রোনালদো। বল নিয়ে গোলমুখে ঢুকেও পড়েছিলেন তিনি; কিন্তু কালক্ষেপনে সুযোগ হারান। দুই মিনিট পর সমতা টানতে পারতেন অলেকসান্দার জুবকভ। তবে ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়েও উড়িয়ে মারেন ইউক্রেনের এই ফরোয়ার্ড।

৩৫তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট হয় জুভেন্টাসের। গোলরক্ষককে একা পেয়েও শট না নিয়ে ডি-বক্সে বাঁ দিকে রোনালদোর উদ্দেশে পাস দেন মোরাতা। এক ডিফেন্ডারের স্লাইডে ঠেকানোর চেষ্টা করলেও তার পায়ে লেগে বল পেয়েছিলেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড, কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে তালগোল পাকান তিনি।

৫৬তম মিনিটে প্রতিপক্ষের ভুলে বল পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন রোনালদো। সামনে একমাত্র বাধা ছিল গোলরক্ষক, তারপরও ব্যর্থতা পেছনে ফেলতে পারেননি তিনি। তার কোনাকুনি শট পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়।

চার মিনিট পর দারুণ নৈপুণ্যে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মোরাতা। ডান দিক থেকে রোনালদোর পাস ডি-বক্সে পেয়ে প্রথম ছোঁয়ায় জোরালো উঁচু শটে ঠিকানা খুঁজে নেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। ডায়নামো কিয়েভকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে জুভেন্টাসের আসর শুরুর ম্যাচেও জোড়া গোল করেছিলেন ধারে আতলেতিকো মাদ্রিদ থেকে আসা মোরাতা।

প্রতিপক্ষের হাস্যকর ভুলের সুযোগে ৭২তম মিনিটে ব্যবধান আরো বাড়ান খানিক আগেই মোরাতার বদলি নামা দিবালা। সতীর্থের ব্যাকপাস পা দিয়ে নিয়ন্ত্রণে নিতে গিয়ে পারেননি গোলরক্ষক, আলগা বলে ছুটে গিয়ে টোকা দিয়ে জালে ঠেলে দেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।

৮২তম মিনিটে গোলরক্ষক দেনেস দিবুসের আরো একটি অমার্জনীয় ভুলে চতুর্থ গোল হজম করে স্বাগতিকরা। সতীর্থের ব্যাকপাস পেয়ে ক্লিয়ার করতে গিয়ে পাশে থাকা দিবালার গায়ে মেরে বসেন হাঙ্গেরির গোলরক্ষক। দিবালার ঠাণ্ডা মাথায় নেওয়া শটে বল দিবুসের পায়ে লেগে ক্রসবার ছুঁয়ে ফিরে আসছিল। তা ঠেকাতে গিয়ে উল্টো জালে পাঠিয়ে দেন ডিফেন্ডার লাশা।

নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে সান্ত্বনাসূচক গোলটি পায় ফেরেন্সভারোস। বোলির প্রথম শট গোলরক্ষক ভয়চেখ স্ট্যাসনি ঝাঁপিয়ে ঠেকালেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি। আলগা বল ফিরতি শটে জালে পাঠান বোলি।

গ্রুপের অন্য ম্যাচে ডায়নামো কিয়েভকে ২-১ গোলে হারানো বার্সেলোনা তিন ম্যাচে শতভাগ সাফল্যে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে। ৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে জুভেন্টাস। ডায়নামো কিয়েভ ও ফেরেন্সভারোসের পয়েন্ট সমান ১ করে।