নিজস্ব প্রতিবেদক:
নোয়াখালী জেলা আ’লীগের প্রস্তাবিত কমিটি থেকে নিজের নাম প্রত্যাখ্যান করেছেন বাংলাদেশ আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা। প্রস্তাবিত কমিটিতে তাকে সহসভাপতি হিসেবে রাখা হয়েছে। এবিষয়ে নিশ্চিত হতে গত ১৫ ই নভেম্বর আনুমানিক সন্ধা ৬.০৩ মিনিটে আমাদের প্রতিনিধিকে মোবাইলে জনাব আব্দুল কাদের মির্জা বলেন, অসুস্থতার কারণে দেশের বাহিরে ছিলেন। দেশে এসে জানতে পারেন নোয়াখালী জেলা আ’লীগের প্রস্তাবিত কমিটি থেকে সর্বোচ্চ ত্যাগী নেতা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী জেলা আ’লীগের সাবেক সহ-সভাপতি জনাব মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিনকে কমিটিতে না রাখাতে তাঁর নাম প্রত্যাহারের এটি হচ্ছে মূলকারণ। জেলা প্রস্তাবিত এই কমিটিতে সর্বোচ্চ ত্যাগী নেতাকে না রাখাটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক, অনভিপ্রেত, অনাকাঙ্খিত বলে মনে করেন তিনি। যা কোনক্রমেই মেনে নেওয়া যায়না। আরও বলেন, ব্যক্তিগতভাবে এ কমিটি যারা করেছেন, তাদের কারও বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই, শুধুমাত্র একটাই দাবি থাকবে মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিনকে সহ-সভাপতি পদে রাখা হোক। তিনি দৃঢ়তার সহিত জানিয়েছেন, কোম্পানীগঞ্জ নিবাসী জেলা আ’লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নাজমুল হক নাজিমসহ জেলা পর্যায়ের অনেকেরই নীতিগত সিদ্ধান্ত সর্বোচ্চ ত্যাগী নেতা মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিনকে এই সম্মানজনক পদে না রাখলে কেউ কমিটিতে থাকবে না এবং কোন মিটিং এ যাবেন না। এবিষয়ে জেলা আ’লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল হক নাজিম গত ১৫ ই নভেম্বর সন্ধা ৭ টায় মোবাইলে জানিয়েছেন, এবিষয়ে আমার নেতা বসুরহাট পৌর মেয়র: আব্দুল কাদের মির্জা যা বলবেন, সেটিই সত্য এবং ঊনার কথা আমার কথা। তিনি বলেন, জেলাতে সবচেয়ে সম্মানজনক পদে আমাকে অধিষ্ঠিত করা হলেও সেটির প্রতিফলন হবে না, যার কারণ মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন সাহেবকে কমিটিকে রাখা হয়নি। স্বাধীনতার পূর্বে এবং বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পরে থেকে তিনি ছিলেন মুজিববাদী সাহাব উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জে আ’লীগের জন্য বা মানুষের জন্য অবদান রাখছে মাননীয় সেতুমন্ত্রী জনাব ওবায়দুল কাদের এর পরে যদি কারও নাম বলতে হয়, সেটি হবে মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন এর পরে আব্দুল কাদের মির্জা ভাই। তিনি আরও বলেন, আ’লীগের জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আমি শ্রদ্ধাকরি এজন্য তাদের গঠনমূলক ও সুশৃঙ্খল নেতৃত্বের বলে নোয়াখালী জেলা আ’লীগ আজ এত সুসংগঠিত। বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে জনাব একরামুল করিম চৌধুরীর এমপির সুশৃঙ্খল নেতৃত্বের খুবই প্রয়োজন। তিনি এমপি মহোদয়ের প্রতি সম্মান, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রদর্শন করে বলেছেন, মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন সাহেবের মতো ত্যাগী, কোমলহৃদয়, সাদা মনের ভালো মানুষগুলো জেলা কমিটিতে না থাকলে জেলা আ’লীগের সৌন্দর্য্যবর্ধন হবে না, তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান, নোয়াখালী সমিতির সভাপতিসহ অনেক সামাজিক সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। তাছাড়া তিনি মাননীয় সেতুমন্ত্রীর খুবই স্নেহভাজন লোক । জেলা কমিটিতে অনুপ্রবেশ তথা জামাত – শিবির বা অন্য দলের লোক আছে কি না? এমন প্রশ্নে দু’জনই বলেন, জানা নেই। এক্ষেত্রে নাজমুল হক নাজিম বলেন, সাংবাদিক বন্ধুগন দেখতে পারে সদ্য প্রস্তাবিত জেলা কমিটিতে অনুপ্রবেশকৃত কেউ আছে কি? জেলা কমিটিতে হেভিওয়েট অত্র দুই নেতার নাম রাখলেও দু’জনই তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে বলেন, সদ্য প্রস্তাবিত নোয়াখালী জেলা কমিটি সংশোধন করে মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন সাহেবকে পূর্বের সহ-সভাপতি পদে নাম রাখতে হবে। আর তাঁর নাম না রেখে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি যদি নোয়াখালী জেলা আ’লীগের প্রস্তাবিত এই কমিটির অনুমোধন প্রদান করে তাহলে, জেলা পর্যায়ের কোন প্রোগ্রামে কেউ যাবেন না, এটি আমাদের দলীয় নীতিগত সিদ্ধান্ত।