চুনারুঘাট প্রতিনিধি: বিজিবির সমালোচনা করায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও এক নারীসহ চারজনকে হাতকড়া পরিয়ে ক্যাম্পে নিয়ে গেল বিজিবির সোর্স শিপন।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার ১৪ নভেম্বর সকাল সাড়ে এগারটায় টায় বাল্লা সীমান্তের বড়কের নামক স্থানে। রাত আটটায় আটককৃতদেকে মুচলেকায় মুক্ত করেন ইউপি চেয়ারম্যান।
এ ঘটনায় বাল্লা সীমান্তে তোলপাড় চলছে।
ঘটনায় আহত রাসেল জানান, রোপনের খুঁজে গিয়ে রোপনকে না পেয়ে ওয়াহেদ ও শিপন তাদেরকে রোপনের লোক মনে করে মারধর করেছে এবং বিজিবি দিয়ে গ্রেফতার করিয়েছে।
গাজীপুর ইউনিয়নের মানিক ভান্ডার গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ মিয়া বলেন, তার ছেলে নুরুল হক ও সুলতানের ছেলে রাসেল, সজিব এবং সুলতান মিয়ার পুত্রবধূ হুসনা আক্তার ঐদিন গরু আনতে সীমান্ত এলাকায় যান। এ সময় চিমটিবিল বিজিবি ক্যাম্পের সোর্স শিপন মিয়া ও তার সহযোগী ওয়াহেদ মিয়ার সাথে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।
এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে রাসেল মিয়াকে কিল ঘুষি মারতে থাকে শিপন।
ওয়াহেদ তার হাতের লাঠি দিয়ে তার ছেলে নুরুল হক ও সুলতান মিয়ার ছেলে রাসেলকে মেরে রক্তাক্ত যখম করেন।
খবর পেয়ে চিমটিবিল বিওপির বিজিবি জোয়ানরা ঘটনাস্থলে এসে নুরু রাসেল ও তার ভাইয়ের স্ত্রীকে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যান।
বিষয়টি জানার পর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন খান, ইউপি সদস্য কাজল মিয়া, সংরক্ষিত মহিলা আসনের ইউপি সদস্য পেয়ারা বেগম মুচলেকা দিয়ে আটককৃতদের রাত আটটার সময় ছাড়িয়ে আনেন। গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির খান বলেন, নো ম্যান্স ল্যান্ডে যাওয়ার অপরাধে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
ইউপি সদস্য পেয়ারা বেগম বলেন, গরু রাখা অবস্থায় তাদেরকে ধরে নিয়ে যায় বিজিবি।
ওয়ার্ড মেম্বার কাজল মিয়া বলেন, নো ম্যান্স ল্যান্ডে যাওয়ার অভিযোগে তাদেরকে বিজিবি আটক করে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ মিয়ার ছেলেসহ নিরপরাধ অন্যান্যদের আটক ও মারধর করার ঘটনা নিয়ে বিজিবি ও তাদের সোর্সদের কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে।
ওয়াহেদ বলেন, তিনি ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন না। রোপন নামের একজন তার বহু টাকা মূল্যের কসমেটিকস মেরে দিয়ে তা হজম করতে বিভিন্ন মিথ্যাচার করছে।

শিপন বলেন,আটককৃতরা চোরাকারবারি। তারা ভারত থেকে ৮ বস্তা চা পাতা নিয়ে এসেছিল কিন্তু বাংলাদেশ অভ্যন্তর থেকে বিএসএফ সেই চা পাতা নিয়ে গেছে। বিজিবির সাথে তর্ক বিতর্ক করার কারণে রাসেলকে তিনি একটা চড় মেরেছেন বলেও স্বীকার করেছেন ।
বিষয়ে চিমটিবিল বিওপির সিকিউরিটি নজরুল ইসলাম বলেন, তিনি টহলে ছিলেন। বিজিবিকে দেখে তারা দৌড়ে পালানোর সময় তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদেরকে কোনো অবৈধ কিছুর সাথে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় কমান্ডিং অফিসার এর নির্দেশে রাতে তাদেরকে মুচলেকায় মুক্ত করে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে চিমটিবিল কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আবু তাহের কোন বক্তব্য দেননি।