চুনারুঘাট প্রতিনিধিঃ

চুনারুঘাটের শানখলা ইউনিয়নের একটি ছড়ায় পাওয়া লাশ টি কিশোর সুমনের। সে উপজেলার লালচান গ্রামের মৃত হিরণ মিয়া ও আসমা আক্তারের পুত্র। এ ঘটনায় চুনারুঘাট থানায় ৩ জনেরর নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে নিহত সুমনের মা আছমা আক্তার।

পুলিশ লাশের সুরতহাল তৈরি করে ময়না তদন্ত করে প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছে।তবে যতই দিন যাচ্ছে ঘটনার মুল রহস্য বেড়িয়ে আসছে। মামলার প্রধান আসামী ৫নং শানখলা ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার আয়ূব চাঁন এর পুত্র ফজলু মিয়া।তাকে ধরতে পারলে অথবা আয়ুবচান কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনা পরিস্কার হবে বলে এলাকাবাসি দাবী করেন। এলাকার লোকজনের মুখে মহিলা মেম্বারের নাম বারবার আসছে। নিহত সুমনের মামী বলেন,ফজলু সহ আরো এক ফজলু এবং রাজু নামে তিন যুবক মিলে রাতে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নেয়া হয়।এরপর তার কোন খোঁজ মিলেনি।পরদিন এলাকাবাসী লালচান এলাকার একটি খালে লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশ কে খবর দেন।পুলিশ লাশ তুললে সুমনের মা আছমা আক্তার তার ছেলে সুমনের লাশ হিসাবে সনাক্ত করেন।

মামলার তদন্ত করছেন চুনারুঘাট থানার এসআই আবু বক্কর।তিনি বলেন,তদন্ত চলছে,তদন্তের স্বার্থে কিছু মন্তব্য করা যাবে না।

চুনারুঘাট থানার ওসি চম্পক দাম বলেন, আসামীদের বিদেশে না পালানোর জন্য ইতিমধ্যেই বিমান বন্দর ও ইমিগ্রেশনে চিঠি দেয়া হয়েছে।এবং মহিলা মেম্বার জড়িত থাকলে তদন্তসাপেক্ষে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের নির্দেশে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।