চলমান সংকটের মুখে আবারও ইরানের বিরুদ্ধে নিজের কাল্পনিক অভিযোগগুলো তুলে ধরে নিঃশর্তভাবে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। শুক্রবার একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ আহ্বান জানান।
এমন সময় পম্পেও এ আহ্বান জানালেন, যখন ইরানি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে প্রেসিডেন্ট টাম্প। আর তা অস্বীকার করে তেহরান বলছে, ইরানের নয় ভুলে তারা নিজেদের ড্রোন ভূপাতিত করেছে। যা নিয়ে ফের বিতর্কের জন্ম দিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময় করা পারমাণবিক চুক্তি থেকে গত বছর ওয়াশিংটনকে সরিয়ে নেন ট্রাম্প। নতুন করে অবরোধ আরোপ করে তেহরানের প্রতি। তখন থেকে মার্কিনের প্রতি তেহরানের বিশ্বাসে চির ধরে।
এরপর থেকে দেশটি কয়েকবার ইরানকে আলোচনার আহ্বান জানালেও, সাড়া দেয়নি তেহরান। উপরন্ত ইরানকে মোকাবেলা করতে বিভিন্ন সময় নেয়া সিদ্ধন্তের কারণে সিনেট ও তার বাইরে বেশ সমালোচনারমুখে পড়তে হয়েছে ট্রাম্পকে।
গত ২৬ জুন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খোমিনি স্পষ্ট ভাষায় ওয়াশিংটনের সঙ্গে সবধরণের আলোচনা নাকচ করে দেন। বলেন, আমেরিকা চায় ইরানের সামরিক শক্তি দুর্বল করতে।
তিনি বলেন, ইরানের সামরিক শক্তিমত্তায় ভীত হয়ে হামল করতে না পেরে তারা এখন শক্তি খর্ব করতে বারবার আলোচনার প্রস্তাব দিচ্ছে। যাতে তারা ইরানে সঙ্গে যেমন খুশি তেমন আচরণ করতে পারে।
এমতাবস্থায় পম্পের আলোচনার ডাক দিলেও, নিজেই আলোচনার বিষয়বস্তু ঠিক করে দিচ্ছেন। বলছেন, ইরান সন্ত্রাসবাদকে উস্কে দিচ্ছে এবং মধ্যপ্রাচ্যে ধ্বংসাত্মক তৎপরতা অব্যহত রেখেছে।
তাই, কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই ইরানের ক্ষেপনাস্ত্র কর্মসূচি ও মধ্যপ্রাচ্যে দেশটির তৎপরতা নিয়ে আলোচনায় বসতে চায় আমেরিকা।
তবে পম্পের আলোচনার আহ্বান তেহরান যে উড়িয়ে দেবে, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।